আপনজন ডেস্ক: আধুনিক যুগে ছোটরা মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করার পরিবর্তে মোবাইল ফোন, ট্যাব বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে আটকে থাকছে। সেই সাথে চলছে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া- দাওয়া। অভিভাবকরাও বাচ্চাকে মানা করতে পারছেন না। এতে করে বাচ্চার শরীরে জমছে বাড়তি ফ্যাট। শারীরিক পরিশ্রম না করায় ওই ফ্যাট জমে দেখা দিচ্ছে ওবেসিটির মতো জটিল সমস্যা। ইউরোপিয়ান হার্ট জার্নাল-কার্ডিও ভাস্কুলার ইমেজিং বলছে, ' ওবেসিটির কারণে বাচ্চাদের হার্টের অ্যানাটমিতে বড়সড় সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এরপর গবেষকরা বাম নিলয়ের দিকে লক্ষ রাখেন। সেখানে দেখা যায়, বাম নিলয় সামান্য বেঁকে গিয়েছে। এই সমস্যা দেখা যায় এরোটিক স্টেনোসিস রোগীদের ক্ষেত্রে। তাই বাচ্চাদেরও পরবর্তী সময়ে এই সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।' সমস্যা থেকে দূরে থাকতে বিএমআই-এর দিকে নজর দিতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে ১০ বছর বয়সি ২৬৩১ জন বাচ্চার উপর গবেষণা করা হয়। গবেষণার প্রধান মেকেইজ মার্সিনিক বলেন, ' বাচ্চাদের মধ্যে ওবেসিটি অনেকটা বেড়েছে। তাই ওবেসিটি হয়ে উঠেছে বিশাল সমস্যার কারণ। এক্ষেত্রে জীবনযাত্রার পরিবর্তনই সব ধরনের সমস্যার সুরাহা করতে পারে।' এটা থেকে আপনার শিশুকে বাঁচাতে ছোট হলেও বাচ্চাকে ব্যায়ামের অভ্যাস করে তুলুন। ছোটবেলা থেকেই এক্সারসাইজের জন্য বাচ্চাকে তৈরি করে রাখুন। দিনে অন্তত পক্ষে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ব্যায়াম করতে বলুন। সবথেকে ভালো হয়, বাচ্চার সঙ্গে আপনিও ব্যায়াম করতে পারলে। বাচ্চাকে খেলতে দিন। বাড়িতে নয়, মাঠে গিয়ে ফুটবল, ক্রিকেট খেলতে দিন। এই ধরনের খেলাধুলা বাচ্চার শারীরিক পরিশ্রম বাড়ায়। তাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। খাওয়াদাওয়া হতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত। ভালো সুষম খাবার খাওয়াতে হবে। খাবার তালিকায় থাকুক ফ্যাট, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেটের সমতা। খাওয়াতে হবে সবুজ শাক, সবজি, ফল ইত্যাদি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct