আপনজন ডেস্ক: গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়ার প্রচলন বহু বছর আগে থেকেই চলে আসছে। যখন চিকিৎসাসেবা এতটা সহজলভ্য ছিল না, তখনও কিন্তু গর্ভবতী মহিলাদের খেজুর খাওয়ার অভ্যাস ছিল। খেজুর কেবল মা এবং শিশুর জন্য নিরাপদই নয়, পাশাপাশি এটি উপকারীও। খেজুরের মধ্যে ফ্রুক্টোজ থাকে যা দ্রুত ভেঙে যায় এবং কারও রক্তে শর্করার মাত্রা পরিবর্তন না করে তাৎক্ষণিক শক্তি সরবরাহ করে। গর্ভাবস্থায় খেজুর খাওয়া ভাল কারণ এগুলিতে ল্যাক্সেটিভ রয়েছে যা জরায়ুর সংকোচনে সহায়তা করে এবং এটি সংক্ষিপ্ত করে প্রসব শ্রমকে সহজ করে।
১. একজন মহিলার সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন পড়ে। সন্তান প্রসবের আগে এবং প্রসবের সময় অনেক বেশি শক্তির প্রয়োজন হয়। তাই খেজুর খেতে বলা হয়। কারণ খেজুরে থেকে নিউট্রিয়েন্টস গর্ভবতী মায়ের শরীরে শক্তির মাত্রা বাড়ায়। ফলে প্রসবের সময় বাড়তি শক্তির যোগান সে সহজেই দিতে পারে।
২. গর্ভাবস্থার পয়ত্রিশ সপ্তাহ পর থেকে প্রতিদিন ছয়টি করে খেজুর খেলে তা মা ও অনাগত শিশুর জন্য বেশ উপকারী হয়। সেইসঙ্গে সন্তান জন্ম দেওয়াও অনেকটা সহজ হয়ে যায়। এরফলে সার্ভিক্স অনেক বেশি মজবুত হয়, যে কারণে সন্তান প্রসব করা অনেক সহজ হয়।
৩. খেজুরে থাকে প্রচুর কার্বোহাইড্রেটস। এছাড়াও এই ফলে গ্লুকোজও থাকে পর্যাপ্ত, যা গর্ভাবস্থায় ধরে রাখা খুব বেশি জরুরি। তাই গর্ভাবস্থায় নিয়মিত খেজুর খাওয়ার বিকল্প নেই।
৪. সন্তান প্রসবের সময় অনেক বেশি রক্ত বের হয়ে যায়। এর ফলে মায়ের শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে যায়। গর্ভাবস্থায় এবং প্রসবের পরে নিয়ম করে খেজুর খেলে তা শরীরে দ্রুত রক্ত উৎপাদন করে।
৫. খেজুরে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড প্রসবের সময়ে সারভাইক্যাল মাসল ফেলিক্সিবল করে ও কমনীয় করে তোলে, যে কারণে প্রসব বেদনা অনেকটাই কম অনুভূত হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct