আব্দুস সামাদ মন্ডল, ফুরফুরা শরীফ: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ফুরফুরার পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী মাওলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি। শুক্রবার ফুরফুরা শরীফে আসেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এদিন বিকেল চারটের দিকে ফুরফুরা শরীফের পৌঁছান। গাড়ি থেকে নামতেই সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে অভ্যর্থনা জানাতে এগিয়ে এসে পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী কোলাকুলি করেন। প্রায় আধঘন্টা সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এই সংখ্যালঘু নেতারা। তারপর ত্বহা সিদ্দিকীর প্রতিষ্ঠিত মসজিদে নাজমা ত্বহা সিদ্দিকীর প্রতিষ্ঠিত হাফেজী মাদ্রাসা সহ দরবার শরীফ ঘুরে দেখালেন।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গ্রন্থাগার মন্ত্রী বলেন, ফুরফুরা শরীফের সঙ্গে আমার বহুদিনের সম্পর্ক ফুরফুরা শরীফ প্রায়ই জিয়ারত করতে আসা হয় এই লকডাউন এর জন্য কিছুদিন বন্ধ ছিল আজ সময় করে ফুরফুরা শরীফে আসলাম পীর-মুর্শিদের দোয়া নিতে
ত্বহা সিদ্দিকীর সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হল জানতে চাইলে তিনি বলেন সার্বিক বিষয় নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। ত্বহা সিদ্দিকী পীর বংশের ছেলে হলেও তিনি যা সামাজিক কাজ করেন তা সত্যিই নজির।
মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী এদিন একটি ফুলের তোড়া নিয়ে আসেন এবং বলেন আমি ফুরফুরা শরীফে আসছি জেনে মুখ্যমন্ত্রী ত্বহা সিদ্দিকীর জন্য এই ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন এবং ত্বহা সাহেবের শারীরিক সুস্থতা কামনা করেছে। বাংলার মানুষের জন্য দোয়ার আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভাঙ্গড়ে বিশ্ব নবী দিবস পালন করাকে বাধা এবং আব্বাস সিদ্দিকীর উপর হামলা নিয়ে সিদ্দিকুল্লাহ বলেন, রাজনীতি আর ধর্মনীতি এক করে দিলে চলবে না। তিনি এও বলেন আমি কয়েকশো মাদ্রাসা চালাই এবং জলসাও করেছি। আগে কই আমার তো কোনদিন অসুবিধা হয়নি। বাধার সম্মুখীন হতে হনি।এই বাংলার জমিনে আরো অনেক পীরজাদা আলেম-ওলামা ধর্মীয় অনুষ্ঠান করছে তাদেরকে তো কেউ বাধা দিচ্ছে না তাহলে ওই একজনকে দেয়া হচ্ছে কেন? তিনি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে বলেই হয়তো এই সমস্যা।
তিনি নাম না করে আব্বাস সিদ্দিকী কে বলেন ভালো মানুষ হয়ে যান, নামাজ রোজা করেন পরহেজোগার হয়ে যান কোন অসুবিধা হবে না। এ বিষয়ে আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি ফোন ধরেননি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct