আপনজন ডেস্ক: হোয়াইট হাইসে ডোনাল্ড ট্রাম্েপর সমর্থকদের হামলার পিছনে ট্রাম্পের উসকানি ছিল। এই ধরনেরে উসকানি মূলক প্ররোচনা সোশ্যাল মিডিয়া দেওয়ায় ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে এবার মামলা করলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ফ্লোরিডার আদলতে মামলা দায়ের করে টুইটারে তাঁর অ্যাকাউন্ট আবার চালু করার ব্যাপারে আদালতের নির্দেশ আশা করেছেন।
এ ব্যাপারে ট্রাম্পের আইনজীবী জন কোয়েইল গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, টুইটারের আইন অনুযায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর অ্যাকাউন্ট ফিরে পাবেন। তবে টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পরিচালনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইন রয়েছে। এ আইনে সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য আরোপিত শর্ত সরকারি লোকজনের বেলায় প্রযোজ্য নয় বলে উল্লেখ আছে। কোয়েইল আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে ট্রাম্প চেয়েছিলেন তাঁর অ্যাকাউন্টে কিছু লোকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার জন্য। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য বিষয়টি অনুমোদিত হলেও সরকারি অ্যাকাউন্টের বেলায় সে সুযোগ নেই। আবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ফেডারেল সরকারের আইন লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার।
২০০৯ সাল থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটারের অ্যাকাউন্ট চালু করেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়ের পর তাঁর অ্যাকাউন্ট সরকারি হয়ে যায়। এর মাধ্যমেই ট্রাম্প জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বৈরী সম্পর্কের কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন তিনি। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের উসকানিমূলক বক্তব্যকে দায়ী করা হয়। এর জের ধরেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে নিষিদ্ধ হয়ে আছেন ট্রাম্প। পরে নিজেই সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে বড় মাধ্যম গড়ে তুলবেন বলে ঘোষণা দেন। ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর এ নিয়ে তাঁর পক্ষের একাধিক উদ্যোগ সাফল্যের মুখ দেখেনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct