জয়প্রকাশ কুইরি, পুরুলিয়া: সোমবার বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটে ১২/০ ভোটে অনাস্থার গৃহীত হয়ে যায় বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতি।এরফলে বিজেপির দখলে থাকা বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে চলে আসতে সময়ের অপেক্ষা গ্রামের মানুষের এবং এলাকার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বিজেপি ও কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে সদস্যরা ২ মাস আগে।
তাই তারা আজকে অনাস্থার ডাক দেয় যার ফলে আজকে অনাস্থা গৃহীত হয়। বিজেপিতে থেকে কোনও সম্মান পাচ্ছিলেন না এবং নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে গ্রামের মানুষের পরিষেবা দিতে না পারায়। সেই কারণেই বিজেপি দল ছেড়ে মা মাটি মানুষের সরকারের উন্নয়ন এ শামিল ও এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডি ব্লকের বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপি ও কংগ্রেস নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতি সদস্যরা। বর্তমানে ২১ টা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যর মধ্যে ৮ জন তৃণমূলের ছিল পরে একজন কংগ্রেস থেকে ও বিজেপি থেকে তিন জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন গত দু মাস আগে অর্থাৎ আজকে ১২ জন তৃণমূল সদস্য বলা চলে। এবং বিজেপির ৫ জন ও কংগ্রেসের ২জন, ফরওয়ার্ড ব্লকের ১ জন এবং একজন বিজেপির প্রয়াত হয়েছে।
তৃণমূল বাদ দিয়ে আজকের অনাস্থা ভোটে উপস্থিত দেখা যায়নি।মোট ২০ জনের মধ্যে ১২ জন তৃণমূল এর বাগমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য সদস্যা উপস্থিত হয়েছিলেন আজকের অনাস্থা ভোটে এবং ১২-০ ভোটে গৃহীত হয়।
২০১৮ সালে বিজেপি পরিচালিত বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হয়েছিলেন কার্তিক চালক। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে এক তরফা ও নিজের ইচ্ছে মতো কাজ করার অভিযোগ তুলে সরব হন বিজেপিরই পঞ্চায়েত সমিতি সদস্যরা।
পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ক্ষুদিরাম কৈবর্ত জানান,সভাপতি কোনও উন্নয়নমূলক কাজ না করেও বাকি সদস্য দের কে যোগ্য সম্মান দিত না ও দলে তাঁরা কোনও সন্মান পাচ্ছেন না। গ্রামের মানুষের কোনও উন্নয়ন করতে পারছেন না।
ফলে সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন তাঁরা। এদিন সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটে ২০ সদস্যের পঞ্চায়েত সমিতির ১২ জন উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির সভাপতি কার্তিক চালকের বিরুদ্ধে ১২ জন সদস্য ভোট দিয়ে অনাস্থার ডাক দিয়েছিলেন কিছু দিন আগে তারই ফলাফল দেখা গেল আজকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct