আপনজন ডেস্ক: ইলিশ মরশুমের প্রথম মুখে হোঁচট খেলেন মৎসজীবীরা। ডায়মন্ড হারবার থেকে কাকদ্বীপ, সাগর থেকে নামখানা, পাথরপ্রতিমা, বকখালি, রায়দিঘি সর্বত্র এখন কপালে ভাঁজ মৎসজীবিদের। ৬১ দিন পার হতেই ১৪ই জুন মাসে পারি দেয় কয়েক হাজার ট্রলার। বঙ্গোপসাগরে যাবার মুখে বাঁধা হয়ে দাঁড়াই নিম্ন চাপ। বন্ধ হয়ে যায় গভীর সমুদ্রে যাওয়া। রেড সিগনাল পড়ে সরকারের তরফে। খাঁড়িতে আশ্রয় নেই ট্রলার। যারা সমুদ্রে পাড়ি দেয় তারা কোন ক্রমে ফিরতে শুরু করে । ফলে ডায়মন্ড হারবারে গতদুদিনে মেলে মাত্র একশ টন ইলিশ।
যেখানে শুরুতে হাজার হাজার টন ইলিশ মেলে। সেখানে মাত্র একশ টন। হিসাব করলে হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি ট্রলার ক্যারটে করে এনেছে মাছ। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ে মৎসজীবিরা। প্রতি ট্রলার খরচ এখন আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকা। সেখানে কয়েকটি কেরট মাছ নিয়ে ফেরাই ক্ষতির মুখে পড়েছে। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর নগেন্দ্র বাজার খুলেও ইলিশের ব্যবসা নেই। বন্ধ প্রায় আড়তগুলো। নিম্ন চাপ কাটলে আবারো পাড়ি দেবে সমুদ্রে। ট্রলার মালিক তারক দাস বলেন, কিন্তু ২৬শে জুন আবার নিম্ন চাপ সঙ্গে পূর্ণিমার কোটাল। সেখানেও সমুদ্রে নামা নিয়ে সংসয় তৈরি হয়েছে মৎসজীবীদের। ইয়াশের পর ঘুরে দাঁড়াতে ইলিশের উপর নির্ভর ছিল ক্ষতিগ্রস্ত মৎসজীবীদের। ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, কুলপি, সাগরদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘির মৎসজিবীদের ঘুরে দাঁড়ানোটা একন দায় হয়ে পড়েছে। একদিকে বেশি দাম ইলিশের। অন্যদিকে জ্বালে না পাওয়া রুপলি মাছ । মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে প্রথম মরশুমে। তবুও ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া তারা। নিম্ন চাপ কাটলে ধরা দেবে ইলিশ। সে আশায় দিন গুনছেন কয়েক হাজার মৎস্যজীবী।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct