রাকিবুল ইসলাম, বহরমপুর: গঙ্গার ভাঙন যেন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে। ভাঙন বিশ্বস্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রায় বছর গঙ্গা ভাঙনের ত্রাসে সর্বশান্ত হয়ে দাড়ায় শয়ে শয়ে পরিবার। গতবছর গঙ্গাভাঙনে নদী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল মুর্শিদাবাদের সামশেকাঞ্জের ধানঘড়া, হিবানন্দপুর, শিবপুর, ধুসরীপাড়া, চাচন্ড গ্রামের কয়েকশো বাড়ি, স্কুল, রাস্তা, মন্দির, বিঘার পর বিঘা জমি।
চরম দুর্দশায় ভিটে মাটি হারিয়ে খোলা আকাশের হাহাকারে দিন কেটেছে ভাঙন বিষ্ণুস্ত মানুষগুলোর। এখনও পুনর্বাসন হয়নি কয়েক হাজার মানুষের। গত বছরের জের কাটিতে না কাটিতেই বর্ষা শুরু হতেই বৃষ্টির দাপটে জলস্তর বাড়তেই রবিবার রাত থেকেই ফের শুরু হয়েছে ভাঙন। আতম্ভে প্রহর গুনছে গঙ্গার পাড় সংলগ্ন মানুষেরা। কোনো রকমে বালির বস্তা দিয়ে সাময়িক ভাবে ভাঙন রোধের চেষ্টা চলছে। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগ বালির কাজে কোনোভাবেই ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়।
গ্রামবাসীদের দাবি নদীর জল বাড়তেই বালির বস্তাও তলিয়ে যাবে নদীগর্ভে। তাই সাময়িকভাবে নয়, ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানে দ্রুত ব্ল্ডার দিয়ে গঙ্গার পাড় বাধানোর আর্জি জানালেন স্থানীয় বাসিন্দা শাইদ আলী শেখ।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের কাজ চলছে। তবে কেন্দ্র সরকারের গাফিলতিতে বোডারের বল্ডারের কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না এমনটাই জানালেন নিমতিতা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মইদুল ইসলাম। ভাঙন বিষ্ণুস্তদের পুনর্বাসনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকশো পরিবারকে পাট্টা বিলি করা হবে বলেও জানান তিনি।
কিছুদিন আগেই ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে যান সেচদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন খুব শীঘ্র ভাঙন মোকাবিলায় কাজ শুরু হতে চলেছে। ভাঙন প্রতিরোধের কাজে ২৭ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct