রাজু আনসারী, অরঙ্গাবাদ: প্রতিনিয়তই বাড়ছে গ্রীষ্মের তাপদাহ। গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছে। গ্রীষ্মের তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে নানারকম ফল খাচ্ছে মানুষ। এসব ফলের তালিকায় রয়েছে তালের শাঁসও মুর্শিদাবাদে তালের শাঁস তালকুর নামে পরিচিত। সুস্বাদু তালের শাঁস শরীর-মনকে সতেজ রাখে। প্রচণ্ড গরমে একটু স্বস্তি পেতে তাল শাঁস কিনে নিচ্ছেন অনেকে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু বড়োরাও সবাই তাল শাঁস খেতে পছন্দ করে। কচি তাল শাঁস সকলকে তৃপ্তিও দেয়।
গ্রীষ্মকালে পশ্চিমবঙ্গের শহর থেকে গ্রাম এলাকার মানুষের কাছে এটা একটি সুস্বাদু, রসালো ও ঠান্ডা প্রকৃতির ফল। মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন গ্রাম ও হাটবাজারে তালের শাঁসের বেশ কদর বেড়েছে। সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিন মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘী, জঙ্গিপুর, সুতি-অরঙ্গাবাদ, সামসেরগঞ্জ ও ফরাক্কা গ্রামের হাট বাজারে প্রচুর পরিমাণে তাল শাঁস বিক্রি হচ্ছে। এ গরমে বাজারে এসে গেছে কচি তাল। তালের শাঁস পছন্দ করে না এমন মানুষ নেই বললেই চলে। তা ছাড়া পুষ্টিগুণে ভরা মানবদেহের জন্য উপকারী তালের শাঁস গরমে মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়। সেখানে খুচরা বিক্রেতাদের তাল বিক্রি করতেও দেখা গেছে।
নাসির মহালদার নামের বিক্রেতা জানান, এবার পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে থেকে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাল ৩ টাকা পিস কিনা পড়ছে। একটি তাল বিক্রি হচ্ছে ৫-৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেচাকেনা এই ভালোই হচ্ছে। যা বেচা বিক্রি হয় তাতে আমাদের সংসার ভালই চলে। যে প্রচন্ড গরম তাতে তাল শাঁস লোকজন ভালোই খাচ্ছেন।প্রতিদিন ১৫০০-২০০০ টাকার তালের শাঁস বিক্রি করি। এতে প্রায় ছয় থেকে সাতশ টাকা লাভ থাকে, যা দিয়ে আমাদের সংসার মোটামুটি ভালোভাবেই চলে যায়।
আসরাফ হোসেন নামের ক্রেতা বলেন, অসহ্য গরমের স্বস্তির একমাত্র ফল হচ্ছে তাল শাঁস। মানুষ ফরমালিন মুক্ত যে ফলটি পায় সেটি হলো তাল শাঁস। তাল শাঁস মধু মাসের ঠান্ডা প্রকৃতির একটা ফল। বাচ্চারা বায়না ধরেছে, তাই তাদের জন্য তাল শাঁস কিনতে এসেছি এসেছেন অনেকেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct