সোনার ব্যাবসা দীর্ঘকাল ধরেই সারা পৃথিবীব্যাপি বাজারের একটা বড় অংশ দখল করে আছে। বহু মানুষ সারা বিশ্বে প্রতিদিন সোনা ব্যাবহার করে বিভিন্ন অলংকার প্রস্তুত করছেন যা বাজার মারফৎ ভোক্তাদের পৌঁছে যাচ্ছে লিখেছেন ফৈয়াজ আহমেদ....
অনেকেই মনে করে থাকেন যে কোনো ব্যাক্তির বাহ্যিক সৌন্দর্যে তার মানসিক অবস্থার বহিপ্রকাশ ঘটায়। সেই কারনে সারা পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষই এই চেষ্টা করে যে কোনো অলঙ্কার ব্যাবহার করে যদি আরও বেশি করে বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রকাশ ঘটানো যায়। আর অলংকারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় অলংকার হল সোনায় তৈরি অলংকার। সোনা বহু যুগ ধরে অলংকার প্রস্তুতকরনের কার্জে ব্যাবহার করা হয়ে এসেছে। তাই সোনা অলংকার প্রস্তুতকারী এবং ব্যাবহারকারীদের কাছে একটি খুবই জনপ্রিয় ধাতু। এই কারনে বহু মানুষ বর্তমানে সোনার ব্যাবসা শুরু করার উদ্যগ নিচ্ছেন এবং তারা সাফল্যও লাভ করছেন। তাই আপনি যদি নিজের ব্যাবসা শুরু করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন, তবে আপনার কাছে সোনার ব্যাবসা শুরু করা একটি ভাল রাস্তা হয়ে দাড়াতে পারে।
সোনার ব্যাবসার জন্য অন্যান সকল ব্যাবসার মতোই প্রাথমিকভাবে কিছু কিছু উপাদানের প্রয়োজন হয়। তাই আপনি যদি এই ব্যাবসা শুরু করতে চান, তবে আপনার উচিত হবে এই সকল উপাদান গুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া।
১) অর্থ- যেকোনো ব্যাবসার ক্ষেত্রেই অর্থ একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। তবে সোনার ব্যাবসায়ে এই উপাদানকে এককথায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলা যেতে পারে। তার কারন হল সোনা পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ধাতু এবং সবচেয়ে মুল্যবান পদার্থগুলির মধ্যে অন্যতম। আর এই ব্যাবসার ক্ষেত্রে কাছামার হল এই সোনা। তাই পর্জাপ্ত পরিমানে সোনা ক্রয় করতে গেলে আপনার অর্থের প্রয়োজনও প্রচুর। তাই এই ব্যাবসা শুরু করার আগে প্রাথমিক পর্বেই আপাকে প্রচুরপরিমানে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে।
২) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি- সোনার গহনা তৈরির কাজ কাজ করার জন্য বেশ কিছু বিশেষ জন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়। উদাহরন স্বরুপ বলা যেতে পারে স্বর্ন পরিক্ষক যন্ত্র, মেটাল কিট ইত্যাদি। এ ছাড়াও আরও অনেক যন্ত্র এই কাজে ব্যাবহ্রিত হয়ে থাকে। আর এই যন্ত্রগুলি কোনো একটি অচল হয়ে থাকলে উৎপাদনের কাজ আরও অনেক বেশি কঠিন হয়ে যায়। তাই আপনাকে প্রাথমিক পর্বে এই সব যন্ত্রের ব্যাবস্থা করতে হবে।
৩) দক্ষ কর্মচারি- সোনার গহনা তৈরির জন্য সোনার উপর যে কারুকার্জ করা হয় তা খুবই সুক্ষ। তাই এই কাজ যারা করবে, তাদের এই কাজে পারদর্শী হতে হবে। তাই এই ব্যাবসা শুরু করার আগে আপনাকে দেখে নিতে হবে যে যাদের আপনি নিজের কর্মচারি হিসেবে বা শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করছেন তারা এই কাজে দক্ষ কিনা।
এতক্ষন ধরে আমরা সোনা সংক্রান্ত ব্যাবসার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচোনা করলাম। আমরা আগেই কিছু এমন ব্যাবসার ক্ষেত্রের কথা বললাম যেখানে সরাসরি গহনা উৎপাদন না করেও আপনি সোনার ব্যাবসার সাথে যুক্ত থাকতে পারেন। তারপর আপনাকে আমরা সোনার ব্যাবসার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান এবং সোনার ব্যাবসা শুরু করার পদ্ধতি সম্পর্কে বললাম। এইগুলি জানা থাকলে আপনি সহজেই নিজের সোনা সংক্রান্ত ব্যাবসা শুরু করতে পারবেন।তাই আর এক মুহুর্ত সময়ও না নস্ত করে এক্ষুনি নিজের ব্যাবসার জন্য পরিকল্পনা শুরু করুন। আমাদের এই প্রবন্ধ থেকে আপনি সাহায্য নিতে পারেন। তাহলে আপনার পরিকল্পনা আরও মজবুত হবে এবং আপনাকে তা সাফল্যের দিকে নিয়ে যাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct