মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া: মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি মানবিক ভাতার কৃতজ্ঞতা স্বীকারে জেলা জুড়ে বিশেষভাবে সক্ষম রাও তৃণমূলের ভোট প্রচারে, দেয়াল অংকনে নদীয়ার বিভিন্ন ব্লকে অদ্বৈত লেনের, বাসিন্দা বিশ্বজিৎ প্রামানিকের ডানহাত বাদ যায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছবি আঁকা জানতেন। তবে তা ডান হাতে বাহাত কে বশ মানাতে লেগেছিলো বেশ কিছু সময়, এখন শান্তিপুর টেকার স্ট্যান্ডের স্টার্টার এর কাজ করেন পেশা হিসেবে। তবে আই এন টি ইউ সি অনুমোদিত তৃণমূলের ট্রেকার অটো চালক ইউনিয়ন ধরে রেখেছেন তিনি।
বিভিন্ন পোর্ট্রেট ছবি, ঘরের ওয়াল পেইন্টিং নানান শিল্পের নিদর্শনের খ্যাতি জেলা জুড়ে। মানবিক ভাতার কৃতজ্ঞতা স্বীকারের কারণে বাঁ হাতেই তুলি ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী আশীর্বাদ প্রাপ্ত নদীয়া জেলার বিভিন্ন বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ভোট প্রচারের দেওয়াল লিখতে।
অপর আর এক মুখ্যমন্ত্রীর গুণমুগ্ধ বিশেষভাবে সক্ষম সুজন দত্ত মরণব্যাধি ক্যান্সারে বেশ কিছু বছর আগে বাদ যায় তার পা। সার্টিফিকেট সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার বিভিন্ন খোঁজখবর ছড়িয়ে দেন নিজের তৈরি করা প্রতিবন্ধন সংগঠনের মাধ্যমে। তার সংগঠনের হুইল চেয়ারে বসা চান না মজুমদার, নৃপেন দাস, সুনিল ভৌমিক গোপীনাথ পাল, বৃদ্ধা কুদু বালা ঘোষ। এরকম বেশকিছু সদস্য সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বেরিয়ে এসেছেন ভোট প্রচারে। গোবিন্দপুর অঞ্চলে দেয়াল লেখার কাজে হাত বাড়িয়েছেন তারা। জানালেন এভাবেই চলবে প্রচার,বাড়ি থেকে বেরোনোর সাহস ভরসা এবং সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মানবিক পেনশনের অর্থে অবসাদ মুক্ত জীবন পেয়েছি। তাই তৃতীয়বারের জন্য শুধু তাই নয়, আজীবন তাকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই।
আমরা ১০০ বছর ছুঁই ছুঁই কুদু বালা ঘোষ জানান দুই প্রতিবন্ধী নাতনি কে নিয়ে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে গিয়েছিল। আমি সহ পরিবারের তিনজন ভাতা পাওয়ায় এখন দু’বেলা দু’মুঠো খেয়ে বাঁচছি। তাই তাকে আবারো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পেতে বেরিয়েছি ভোট প্রচারে। এভাবেই শান্তিপুরের প্রতি বন্ধন সংগঠন তাদের সদস্যদের নিয়ে দেয়াল লিখন ভোট প্রচারে ব্যস্ত। সংগঠনের সভাপতি সুজন দত্ত জানান গোবিন্দপুর অঞ্চলে দুটি দেওয়াল লেখা হলেও অন্যান্য অঞ্চল এবং শান্তিপুর শহরেও লেখা হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct