আপনজন ডেস্ক: মায়ানমারে সামরিক অভু্য়া্যুত্থানের পর গোটা দেশ এখন সেনাবাহিনীর কবজায়। নানা বিধি নিসেদ চালু করলেও সেনা বিরোধী বিক্ষোভ দেখাতে পিছপা হচ্ছে না সেখানকার বাসিন্দারা। সেই বিক্ষোভ দমনে এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে মায়ানমার সরকার। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে সামরিক বাহিনীকে বাধা দিলে ২০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে বলে সতর্কতা দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রিটিশ গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, সেনাশাসকদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়ানো হলে দীর্ঘ কারাবাস ও জরিমানা করা হবে।
উল্লেথ্য, ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থান করে মায়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী। গ্রেফতার করা হয় মায়ানমারের নেত্রী অং সান সু কি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন দল এনএলডির শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রীদের। এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইয়াং।
এরপর থেকে রাজধানী নেইপিদোসহ দেশটি জুড়ে টানা বিক্ষোভ চালিয়ে আসছে জনতা। এক দশকেরও বেশি সময়ের পর সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ দেখে মায়ানমার।
বিক্ষোভকারীরা ক্ষমতাচ্যুত ও গৃহবন্দী নির্বাচিত নেতা অং সান সু চির মুক্তি ওগণতন্ত্র পুনর্বহালের দাবি করছেন। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান, রাবার বুলেট ও গুলি চালালে বিক্ষোভ আরও বড় আকার নেয়।
এমন পরিস্থিতিতে, বিক্ষোভ দমন করতে নতুন নির্দেশনা জারি করল জান্তা সরকার। দায়িত্ব পালনে নিরাপত্তা বাহিনীকে বাধা দিলে সাত বছরের জেল দেয়া হবে, প্রকাশ্যে বিশৃঙ্খলা ও জনগণের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করলে হবে তিন বছর জেল। এভাবে সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানার আইন করেছে সেনাশাসকেরা।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কথা, লেখা ও বলার মাধ্যমে বা কোনও কিছু স্বাক্ষর করে বা দৃশ্যমান উপস্থাপনার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রচার করা হলে লম্বা জেল জরিমানা দেওয়া হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct