আপনজন ডেস্ক: অবশেষে কৃষি আইন নিযে পিছু হঠতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার কোনওভাবেই এই আইন প্রত্যাহার করবে না বলে এতদিন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকলেও বুধবার দশমবার কৃষক নেতাদের বৈঠকে এই আইন আগামী এক থেকে দেড় বছরের জন্য স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছে।
চলমান কৃষক আন্দোলন নিয়ে সমাধান খুঁজতে সুপ্রিম কোর্ট চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তার মধ্যে একজন পদত্যাগ করার পর এবং কমিটির সদস্যদের নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় নতুন কমিটি গঠনের জন্য মামলা হয়। সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, নয়া কৃষি আইনগুলি খতিয়ে দেখার জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি শুধু তাদের মতামত জানাবেন। কৃষি আইন নিয়ে তাদের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। সুপ্রিম কোর্টের এই মন্তব্যের পরপরই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কৃষক সংগঠনগুলির নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হল কৃষি আইন প্রয়োজনে এক থেকে দেড় বছর স্থগিত রাখা যেতে পারে।
বুধবার দশম বারের মতো কৃষক সংগঠনগুলির নেতাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী সহ অন্য প্রতিনিধিরা বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন বিজ্ঞান ভবনে। বৈঠক শেষে অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভার নেতা বালকিষাণ সিং ব্রার জানান, দশম বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে নিয়োজিত বিশেষজ্ঞ কমিটি কৃষক সংগঠনগুলির দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে প্রস্তাব রাখা হয়েছে, প্রয়োজনে কেন্দ্র নয়া কৃষি আইন এক থেকে দেড় বছর স্থগিত রাখতে পারে।
আর এক কৃষক নেতা কবিতা কুরুগান্তি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের প্রস্তাবের হলফনামা সুপ্রিম কোর্টে জমা দিয়ে তিনটি কৃষি আইন সাময়িকভাবে স্থগিত রেখে কমিটি গঠনের কথা বলেছে।
কৃষি আইন বিষয়ে এদিন বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী তোমর সাংবাদিকদের নিজেই জানান, সরকার প্রয়োজনে কৃষি আইন এক থেকে দেড় বছর স্থগিত রাখতে পারে।
তাই কৃষক আন্দোলনকারীদের দাবি, তাদের আন্দোলনের চাপে পড়ে কেন্দ্র পিছু হঠতে বাধ্য হল।
উল্লেখ্য, বুধবারের বৈঠকে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে ছিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোমপ্রকাশ। অন্যদিকে কৃষক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে ৪১জন প্রতিনিধি হাজির ছিলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct