আপনজন ডেস্ক: কিডনিতে যে পাথর জমে, সেগুলোকে রেনাল পাথর বা নেফ্রোলিথিয়াসিস বলা হয়। ক্যালসিয়াম অক্সালেট, স্ট্রুভাইট, ইউরিক অ্যাসিড ও সিস্টাইন নামক কঠিন বর্জ্য পদার্থ দিয়ে গঠিত হয় এই পাথরগুলো। বিশেষজ্ঞদের মতে, জল কম পান করলে কিডনি সংক্রান্ত নানা সমস্যা বাড়ে। এছাড়া দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভুগলেও কিডনির সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ কমে যায়। প্রতি দশজনের মধ্যে একজন কিডনিতে পাথর হওয়ার সমস্যায় ভোগেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি আছেন ১১ শতাংশ পুরুষ ও ৯ শতাংশ মহিলা। যেভাবে বুঝবেন, আপনার কিডনিতে পাথর হয়েছে। তীব্র পিঠে ব্যথা হবে।প্রস্রাবে রক্ত আসবে। বমি বমি ভাব থাকবে। জ্বর আসবে। ঠান্ডা লাগা থাকবে, দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব হবে।কিডনিতে পাথর ছোট বা বড় হতে পারে। সাধারণত ছোট পাথর প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। তবে অনেক সময় ছোটগুলোও বের হয় না ও সেগুলোর আকারও বাড়তে থাকে। কখনো কখনো ওষুধের দ্বারা বড় পাথর ভেঙে গলিয়ে দেওয়া হয়, আবার অনেকের অপারেশনেরও প্রয়োজন হতে পারে। এ বিষয়ে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা জানান, ওষুধ বা অস্ত্রোপচার ছাড়াও কিডনির পাথর নিরাময় করা যায়। আয়ুর্বেদ ডাক্তার মিহির খাত্রি জানান, কীভাবে এই বড় লেবু কিডনির পাথরের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। ইংরেজিতে এই লেবুকে সিট্রন বা সাইট্রাস মেডিকা বলে। এর আকৃতি ছোট লেবুর মতো গোলাকার নয়। এটি দেখতে করলার মতো। এর রং হলুদ বা সবুজ। তবে এর বীজ কিছুটা বড়। বিশেষজ্ঞ মিহির খাত্রির মতে, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই লেবুর রস ২০ মিলিলিটার পান করা উচিত। তবে ৩-৪ সপ্তাহের বেশি খাবেন না। এর অতিরিক্ত সেবনে আবার আমবাত হতে পারে। কিডনিতে পাথরের সমস্যা সমাধানে প্রতিদিন প্রচুর জল পান করুন ও পাতলা ডাল খান। এছাড়া প্রস্রাব ও মল দীর্ঘক্ষণ চেপে রাখবেন না। একই সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাবেন না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct