আপনজন ডেস্ক: যে মেয়েটি একসময় পরিবারের আর্থিক দৈনতার কারণে মায়ের সঙ্গে গম পরিষ্কার করার কাজ করতেন তিনিই এখন হতে চলেছেন উত্তরাখণ্ডের আদালতের বিচারক। একেবারেই গ্রামের মেয়ে আয়েশা ফারহিন উত্তরাখণ্ড জুডিশিয়াল সার্ভিস সিভিল সার্ভিসে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন। গত ২২ ডিসেম্বর উত্তরাখণ্ড জুডিশিয়াল সার্ভিস সিভিল সার্ভিসের যে ফল প্রকাশ হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে আয়েশা আয়েশা নবম স্থান অধিকার করেছেন।
রুরকি থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে শাহপুর গ্রামে আয়েশার বাড়ি। বাবা কেবল পঞ্চম পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন এবং মা কখনও স্কুলে যাননি। এই গ্রামে প্রাথমিক স্কুল থাকলেও কোনও হাই স্কুল নেই। তবুও আয়েশার পরিবারে আটজন আইনজীবী। ওই পরিবারে আইন পড়াশোনা করা আয়েশাই প্রথম মেয়ে। আর এই গ্রামে আয়েশাই প্রথম বিচার।
আয়েশার বাবা শরাফত আলি বলেন, তার বড় মেয়ে অবাক করে দিয়েছে। আমি পঞ্চম পর্যন্ত পড়তে সক্ষম হয়েছি, কেবল সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এটি পড়তে দেব, আমি এগিয়ে যাব! এর মা সবেমাত্র কুরআন পড়েছেন। গ্রামে কোনও ইংরেজি স্কুল নেই। তাই আয়েশাকে প্রথমে রুরকি এবং পরে এলাহাবাদে পাঠানো হয়। পরে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম করেছেন।
তিনি জানান, আয়েশা প্রস্তুতি নিয়েছিলেন মাত্র ৬ মাস। এই বছর লকডাউন পরিস্থিতির কারণে, তিনি এটি নিয়মিত করতেও পারেননি। তার মায়ের সঙ্গে আয়েশা গম পরিষ্কার করে দিন কাটাতেন আয়েশা। তবুও তার সাফল্য আটকাতে যায়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct