আপনজন ডেস্ক: দেশের অন্যতম বণিক সংগঠন অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা অ্যাসোচেম সরকার ও কৃষকদের সংগঠনগুলির প্রতি নতুন কৃষি আইন নিযে অচলাবস্থার সমাধানের জন্য অনুরোধ করেছে। এর কালন হিসেবে বলা হয়েছে, এই কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনের জেরে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের অর্থনীতি ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৩,৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। এই বিক্ষোভের ফলে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খাচ্ছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং হিমাচল প্রদেশ।
অ্যাসোচেম এ ব্যাপারে বলেছে, এই সব রাজ্যের অর্থনীতি প্রাথমিকভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। তবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, সুতির টেক্সটাইল, অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতি ও আইটি অন্যান্য ক্ষেত্রগুলি তাদের জীবন সঙ্কটে পরিণত হয়েছে। বাণিজ্য, পর্যটন, আতিথেয়তা এবং পরিবহণ এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে সহায়তা দেওয়া অন্যান্য খাত।
অ্যাসোচেমের প্রেসিডেন্ট ড. নিরঞ্জন হিরানন্দানি বলেছেন, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সম্মিলিত অর্থনীতির পরিমাণ ১৮ লক্ষ কোটি টাকা। চলমান কৃষকদের আন্দোলন ও রাস্তা, টোল প্লাজা ও রেলপথ অবরোধের ফলে অর্থনৈতিক কার্যক্রম থেমে গেছে। টেক্সটাইল, অটো উপাদান, সাইকেল, ক্রীড়া সামগ্রীর মতো শিল্প যা রফতানি বাজারগুলিতে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিপূর্ণ হয়, ক্রিসমাসের আগে তাদের অর্ডারগুলি পূরণ করতে সক্ষম হবে না। ফলে বিশ্ব ক্রেতাদের কাছে গুডউইল মার খাবে।
অ্যাসোচেমের সাধারণ সম্পাদক দীপক সুদ বলেন, সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় ফল ও সবজির খুচরা মূল্যের দাম বাড়িয়ে তুলছে। যখন কোভিড মুক্ত হযে আনলক হওয়ার পথে দেশ তখন শিল্প ও কৃষকদে;র চরম মূল্য গুনতে হচ্ছে।
সমিতিটি বলেছে যে গুরুত্বপূর্ণ কৃষিক্ষেত্রে যে পার্থক্য রয়েছে তা সমাধান করা সকলের কর্তব্য। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংস্কারগুলি চূড়ান্তভাবে এই অঞ্চলের মানুষকে সাহায্য করবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct