আপনজন ডেস্ক: গ্রেস নামের এক আফ্রিকান যুবতী দিল্লি বিমানবন্দরে এসে পৌছনোর পর, বুঝতে পারলো যে একটা চক্র জড়িয়ে পড়েছে। আসলে কিছুদিন আগে এক বন্ধুর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি পোস্ট দেখেছিলেন গ্রেস। সেখানে লেখা ছিল ভারতে কাজের ব্যাপক সুযোগ। সেটা দেখে ভারতে আসার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে সে। আসলে গ্রেস একজন সঙ্গীত শিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং অভিনেত্রী। সে অন্যদের মতো একদিন অনেক নাম করবে, খুব সুন্দর একটা জীবন যাপন করতে চেয়েছিল। পাশাপাশি সে শুনেছিল, ভারতে ভালো অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।সেই সুযোগটা নিতে চেয়েছিল সে।কিন্তু দিল্লি এসে পৌঁছনোর পর গ্রেস বুঝতে পারলো যে একটা দুঃস্বপ্নের মধ্যে বন্দি হয়ে পড়েছে ।
কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আফ্রিকার নানা দেশ থেকে মহিলাদের ভারতে নিয়ে আসা হচ্ছে। কিন্তু তাদের এখানে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আফ্রিকার নানা দেশ থেকে মহিলাদের ভারতে নিয়ে আসা হচ্ছে। কিন্তু তাদের যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। গ্রেস ভারতে এসে পৌঁছানোর পর তাকে একটি যৌন পল্লীতে নিয়ে যাওয়া হয়। গোল্ডি নামের একজন মহিলা সেখানে তার পাসপোর্ট কেড়ে নিল। ওই মহিলা গ্রেসের ভারতে আসার জন্য খরচ বহন করেছে। গ্রেসকে জানালো হল, তাকে ভারতে আনতে গোল্ডির খরচ হয়েছে প্রায় চার হাজার মার্কিন ডলার, ভারতে আসার প্লেন টিকিটের যে খরচ তার চেয়ে সাতগুণ বেশি। এখন গোল্ডিকে এই অর্থ পরিশোধ করার জন্য গ্রেসের সামনে একটাই পথ খোলা ছিল। এ ব্যাপারে গ্রেস বলেন, 'পতিতাবৃত্তি আমার কাছে এমন একটা কাজ, আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে বলতাম, এটা যেন কাজ হিসেবে আমার সামনে পৃথিবীর শেষ বিকল্প হয়।' পাঁচ মাস ধরে গ্রেস আরো চারজন পাচারের শিকার মহিলার সঙ্গে একটা ছোট ঘরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। গ্রেস দিল্লির
আফ্রিকান এক চক্রের গোপন ঘাঁটিতে রয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct