আপনজন ডেস্ক: রাজ্যে স্কুলগুলিকে শিক্ষা দপতরের পোটালে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও মাদ্রাসাগুলিকে এখনো পর্যন্ত শিক্ষা পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করা না হওয়ায় মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা অন্যান্য স্কুলে ভর্তি হতে গেলে নানা সমস্যায় পড়ছে। সেই সমস্যা দূরীকরণে মাদ্রাসা শিক্ষক শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে এক প্রতিনিধি দল শুক্রবার বিকাশ ভবনে সাক্ষাৎ করলেন রাজ্য শিক্ষা দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টরে সঙ্গে। এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সম্পাদক আলী হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক আতিয়ার রহমান ও রাজ্য মুখপাত্র সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, উপদেষ্টা কমিটির কনভেনার সৈয়দ শাফাকাত হোসেন, মাওলানা এহসানুল প্রমুখ।
এ ব্যাপারে সমিতির মুখপাত্র সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, রাজ্যে স্কুল লিকে পোটালের অন্তর্ভুক্ত করা হলেও মাদ্রাসাগুলিকে এখনো পর্যন্ত শিক্ষা পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি যার পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা অন্যান্য স্কুলে ভর্তি হতে গেলে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এছাড়া ভবিষ্যতে নানা সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়মকানুন মানার ক্ষেত্রে পোটালে অন্তর্ভুক্ত না থাকলে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই শিক্ষা দফতরের কমিশনার থেকে শুরু করে ডিরেক্টর পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দেয়া হয়। দফতর থেকে জানানো হয় এ বিষয়ে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন বছরের শুরু থেকেই মাদ্রাসাগুলিকে শিক্ষা পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে।
এছাড়া এদিন, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনে সচিবের সঙ্গে সমিতি প্রতিনিধি দল বৈঠকে বসে। সেখান এই দাবি জানানো হয় প্রধান শিক্ষক সুপারিনটেন্ডেন্টদের পরীক্ষা দ্রুত নেওয়ার জন্য। সেই সঙ্গে জেনারেল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে সমিতি কিছু দাব জানায়। শিক্ষকের অভাবে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষতি হচ্ছে, তাই দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়। আর মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি আবু তাহের মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন সাহেবের সাথে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয় মাদ্রাসা পড়ুয়ায়ের কিভাবে পড়াশুনার ঘাটতি মেটানো যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct