অবশেষে মিলল মোদীর বিএ পাশের সার্টিফিকেট। থার্ড ডিভিশন পাওয়া এই সার্টিফিকেট নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে এসেছিলেন বিজেপি নেতা অমিত শাহা। এ সময় তিনি কেজরিওয়ালকে তার আচরণের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেন তিনি। পুরো এপ্রিল জুরে ভারতের গণমাধ্যমে আলোচিত ছিল সার্টিফিকেট ইস্যু। কেজরিওয়াল তার টুইট বার্তায় প্রথমে দাবি করে, মোদীর শিক্ষা বিষয়ক তথ্য সঠিক নয়। তিনি এ সম্পর্কিত তথ্য চেয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেন। কিন্তু তার সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য প্রকাশ করতে ব্যর্থ হলে কেজরিওয়াল সরাসরি দাবি করে, নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষা বিষয়ক তথ্য ভুয়া। অবশেষে দীর্ঘদিন ধরে চলা এই বাকবিতণ্ডার ইতি টানতে উদ্যোগ ভারতের এই প্রধানমন্ত্রী। মোদীর নির্দেশে তার বিএ পাশের সার্টিফিকেট নম্বরপত্র সহ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের দেখান বিজেপি নেতা অমিত শাহা। এ সময় দেখা যায়, ১৯৭৫ সালে ইংরেজি, হিন্দি, ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পার্ট-১ পরীক্ষায় একবারে উত্তীর্ণ হন মোদী। পরের বছর পার্ট-২ এ একমাত্র রাষ্ট্রবিজ্ঞান ছাড়া বাকি তিনটি বিষয়েই ফেল করেন। তার পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭৭ সালে পার্ট-৩ এর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও পার্ট-২ এ ইতিহাস বিষয়ে ফের ফেল করে বসেন তিনি। এরপর ১৯৭৮ সালে ইতিহাসে ফের পরীক্ষা দিয়ে ফেল উৎরান মোদী। সব মিলিয়ে তৃতীয় বিভাগ অর্থাৎ থার্ড ডিভিশনে পাস করেন তিনি। অবশ্য তাতেও খুশি নন কেজরিওয়াল। এই সংবাদ সম্মেলনের পর, ক্ষমা চাওয়ার বদলে উল্টো ডিগ্রিগুলোকে ভুয়া বলেন তিনি। তার দাবি মোদীর তিন বছরের নম্বরপত্রে দুই রকমের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। দ্য হিন্দু।
আরও পড়ুন: