আপনজন ডেস্ক: ওষুধ নির্মাতা সংস্থা জনসন এন্ড জনসন খেলো জোর ধাক্কা । তাদের সম্ভাব্য করোনা প্রতিষেধক প্রয়োগ করার পর এক স্বেচ্ছাসেবকের অসুস্থতা দেখা যায়, তারপর তাদের কোভিড ভ্যাকসিন পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হচ্ছে।
জনসন এন্ড জনসন প্রায় ৬০০০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর তাদের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল' চালাচ্ছিল। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন চালু হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবকদের পদে আবেদন করার জন্য।
একজন মানুষের অসুস্থতা দেখা দেওয়ার ফলে পুরো প্রক্রিয়াই থেমে গিয়েছে। ব্যক্তির দেহে কি ধরনের অসুস্থতা ধরা পড়েছে তার সম্পর্কে বিশদে কিছু জানানো হয়নি। শুধু সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে সাময়িকভাবে প্রতিষেধকের প্রয়োগ স্থগিত রাখা হচ্ছে।
গোটা বিশ্ব করোনার প্রকোপে সম্পূর্ণ কাবু। অজানা এই ভাইরাসকে কেউই হারাতে পারেনি। কমবেশি সব দেশেই তার জাল বিস্তার করেছে ভাইরাস। কেড়েছে অসংখ্য প্রাণ।
এরমধ্যে এখনো পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন মানুষের কাছে পৌঁছয়নি। হার্ড ইমিউনিটি বা বৃহত্তর গোষ্ঠীর মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার একটি তত্ত্ব ইতিমধ্যে জনপ্রিয় হলেও বিষয়টি যে অবৈজ্ঞানিক এবং নীতিগতভাবে কখনোই ঠিক হতে পারে না তাই জানিয়ে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল সোমবার জানিয়েছেন "রোগ ছড়িয়ে হার্ড ইমিউনিটি তৈরীর পথে কখনোই আমরা হাঁটিনি। কোন জনগোষ্ঠীর একটা বড় অংশকে প্রতিষেধক দিয়ে তাদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলা হয়। রোগ ছড়িয়ে দিয়ে নয়।"
তিনি জানিয়েছেন সংক্রমিত দেহে প্রাথমিকভাবে এক ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠলেও তার স্থায়িত্ব কত দিন সে বিষয়ে কিছুই জানা নেই। অনেকেই প্রথমবার সুস্থ হয়ে ওঠার পর দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হচ্ছেন।
তিনি বলেছেন এ তো সবে শুরু কোভিডের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব কি হতে চলেছে তা আমরা জানি না। তাই হার্ড ইমিউনিটি তৈরি করার ভাবনা অনৈতিক।
মঙ্গলবার দ্য ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে প্রায় একই ধরনের তথ্য সামনে দেখা গিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে দ্বিতীয় ভারাক্রান্ত শরীরে আরো জটিল উপসর্গ দেখা দিতে পারে। আমেরিকা তে নেভাদায় ২৫ বছরের যুবক ৪৮ দিনের মধ্যে দুবার করণ আক্রান্ত হন ভাইরাসটির ধরণ আলাদা হলেও তারা একই গোত্রের। প্রথমবার উপসর্গ তেমন না থাকলেও তৃতীয়বার সংক্রমনের ফলে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। বেলজিয়াম, ইকুয়েডর, নেদারল্যান্ডস, হংকং এও এই ধরনের খবর মিলছে। শীতের শুরুতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মতো ব্রিটেনেও সংক্রমনের দ্বিতীয় উঠেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct