আপনজন ডেস্ক: মুকুল রায় যখন বিজেপির সরবভারতীয় সহ সভাপতি পদে আসীন হয়েছেন তখন রাহুল সিনহার অসেন্তাষ বিজেপিকে ভাবিয়ে তুলছে। তবে, রাহুল সিনহার অনুগামীরা কিন্তু জেলাজুড়ে সক্রিয় হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্চে। ফলে, বিজেপি এ রাজ্যে আগামীয় বিধানসভা নির্বাচনে কতটা সুবিধা করতে পারবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। তবে, কিছু জেলায় বিজেপি তৃণমূরের শক্ত ঘাঁটি ভাঙার জন্য আদাজল কেয়ে নেমেছে। বিশেষ করে হুগলি জেলায়।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ বিজেপি নেতা হুগলিতে থাবা বসাতে ফুরফুরার পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকীকে ফোন করে তাদেরকে সমর্থন জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। এবার বিভিন্ন জায়গায় নতুন দলের অফিস খুলতে সক্রিয় হচ্ছে বিজেপি।
গত বৃহস্পতিবার হুগলির চণ্ডীতলা এলাকার কুমিরমোড়া অঞ্চলে নতুন পার্টি অফিস উন্মোচন করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কবির শঙ্কর বোস। উল্লেখ্য, চণ্ডীতলা বিধানসভা আসন এখন তৃণমূলের দখলে। প্রয়াত আকবর আলি খন্দকারের স্ত্রী স্বাতী খণ্দকার চণ্ডীতলা বিধানসভা াাসনে তৃণমূলের টিকিটে জিতে এসেছেন। আর এখানকার সাংসদ হচ্ছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সেই শক্ত ঘাঁটিকেই এবার পাখির চোখ করতে চায় জেলা বিজেপি।
এদিন বিজেপির কুমিরমোড়া অঞ্চলে নতুন পার্টি অফিস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিপি ২১ মণ্ডলের সহ-সভাপতি ড. সুব্রত হাজরা, যুব মোর্চার সভাপতি প্রকাশ দাস, রাকেশ দাস, মহিলা মোর্চার সভাপতি জুমা চেল, মিনতী শেঠ, বিজেপি আইটি সেলের কর্মী অর্নব ঘোষ প্রমুখ। তবে, নতুন অফিস খুললেও ভোটের বাক্সে কতটা তার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে সেটা নিয়ে খোদ বিজেপিতে ধন্দ রযেছে। এর মূলে মুকুল-রাহুল কিংবা দিলীপ ঘোষের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বই প্রধান কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct