পাশ্চাত্যের দেশগুলির সঙ্গে সঙ্গে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান সহ বিশ্বের বহু দেশে গোমাংস, ছাগলের মাংস খাওয়ার প্রবণতা যেমন বাড়ছে। যদিও বহু রাজ্যে গোমাংস নিষিদ্ধ। তবুও দেশে এখনও নিরামিষাশীদের সংখ্যা বাড়লেও আমিষ ভোজীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সেই সঙ্গে এর প্রভাবে বিভিন্ন রকম ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, স্ট্রোকসহ ব্যথার রোগীও বেড়েই চলছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।। তাই উন্নত দেশে এই ধরনের মাংসের ব্যবহার সীমিত করার জোর চেষ্টা চলছে। খাদ্য বিলাসী ভোজন প্রিয় মানুষ সারা বছরই সীমিত পরিমাণ মাংস খেলেও কোরবানির ঈদ এর সময় অনেকের মাংস খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। গরু কিংবা ছাগলের মাংসে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল থাকায় নানাবিধ স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হয়। যেমন ১০০ গ্রাম গরু অথবা ছাগলের মাংসে ২২.৬ গ্রাম প্রোটিন, ২.৬ গ্রাম ফ্যাট ছাড়াও ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন বি১২, জিঙ্ক, আয়রণ ভিটামিন ও খনিজ লবণ, সেলেনিয়াম, নায়াসিন, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও কপার থাকে। এদের মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, ভিটামিন এবং মিনারেলস। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এদের মাংসের প্রোটিন থেকে প্রাপ্ত অ্যামাইনো এসিড হাড়, দাঁত ও মাংসপেশীকে সুগঠিত করতে সাহায্য করে। এই মাংস রক্তস্বল্পতা দূর করে সেইসঙ্গে শরীরে শক্তি সরবরাহ করে। মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায়ও এর প্রয়োজনীয়তা অনেক। গরু ও ছাগলের মাংসে অনেক পুষ্টি থাকার পরেও অতিরিক্ত খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে হজমে সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক, পেট ব্যথা এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে। সবচেয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন পাইল ও ক্রনিক কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীরা। অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে রক্তনালিগুলোয় চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়। হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ে। কারণ গরু ও ছাগলের মাংসে খুব বেশি মাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং কোলেস্টরল থাকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct