আপনজন ডেস্ক: লেবাননের রাজধানী বৈরুত বা গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অবকাঠামোর ওপর হামলা চালানো থেকে ইসরায়েলকে বিরত রাখতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গোলান মালভূমিতে এক প্রাণঘাতী রকেট হামলার পর এই প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।
শনিবারের ওই হামলায় ১২ জন নিহত হয়। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র হিজবুল্লাহকে হামলার জন্য দায়ী করেছে, যদিও হিজবুল্লাহ দায় অস্বীকার করেছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা ইসরায়েলের পাল্টা হামলা সীমিত রাখার চেষ্টা করছেন। তারা ইসরায়েলকে বৈরুত ও হিজবুল্লাহর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত শহরের দক্ষিণাঞ্চলে অথবা প্রধান অবকাঠামো যেমন বিমানবন্দর এবং সেতু লক্ষ্যবস্তু না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার লেবাননের পার্লামেন্টের উপ-সভাপতি ইলিয়াস বু সাব গোলান মালভূমিতে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারী আমোস হকস্টেইনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েল যদি বৈরুত ও এর উপকণ্ঠে হামলা থেকে বিরত থাকে তবে বড় ধরনের উত্তেজনা এড়ানো সম্ভব হবে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, তারা হিজবুল্লাহকে আঘাত করতে চান। কিন্তু পুরো অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে দিতে চান না। তবে, ইসরায়েল বৈরুত বা তার উপকণ্ঠে হামলা না করার কোনও প্রতিশ্রুতি দেয়নি।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করেছে, তারা কূটনৈতিক আলোচনা সম্পর্কে বিশদ তথ্য প্রকাশ করবে না। তবে সীমান্তে সব ধরনের পাল্টাপাল্টি বন্ধ করতে একটি ‘টেকসই সমাধান’ খুঁজছে।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ইসরায়েল গোলান হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু কোনও পক্ষ বড় পরিসরের যুদ্ধ চায় না।
ফরাসি কূটনীতিকরা ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা কমানোর জন্য বার্তা বিনিময়ে জড়িত। ফ্রান্সের লেবাননের সঙ্গে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে এবং দেশটিতে প্রায় ২০ হাজার ফরাসি নাগরিক বসবাস করছেন।
ইসরায়েলের বেসামরিকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনী হোমফ্রন্ট কমান্ড এখনও কোনও নতুন নির্দেশনা জারি করেনি। যা ইঙ্গিত দিচ্ছে, হিজবুল্লাহ বা অন্য কোনও গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বড় কোনও হামলার আশঙ্কা তারা করছে না।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct