আপনজন ডেস্ক: ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরান। জবাবে ইসরায়েলও প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজছে, সাজাচ্ছে নানা পরিকল্পনা। তবে ইরান-ইসরালের মধ্যে এমন পরিস্থিতির জন্য এবার ইসরায়েলকে দায়ী করল জর্ডান। ইরানের হামলার এক সপ্তাহ না পেরুতেই নেতানিয়াহুর কড়া সমালোচনা করে এ অভিযোগ তোলা হয়। ইরানের ছোড়া বেশকিছু ড্রোন ইসরায়েলে পৌঁছার আগেই ভূপাতিত করে মুসলিম বিশ্বে বেশ সমালোচিত জর্ডান। এ পরিস্থিতির মধ্যে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে দেশটির পক্ষ থেকে বক্তব্য এলো। রয়টার্সের বরাতে এমন সংবাদ প্রকাশ করে মিডলইস্ট মনিটর। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বার্লিনে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করেন। আয়মান বলেন, বিশ্বের উচিত নেতানিয়াহুকে থামানো। বর্তমান উত্তেজনা বাড়ানোর পেছনে তিনিই দায়ী। জর্ডানের এ নেতা আরো বলেন, সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলায় কর্মকর্তা নিহতের প্রতিশোধ নিয়েছে দেশটি। ইরান বলেছে, তারা আর কোনো সংঘাতে যেতে চায় না। নতুন করে উত্তেজনাও বাড়াতে চায় না। কিন্তু নেতানিয়াহু এটিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। কারণ, তিনি গাজা যুদ্ধ থেকে বিশ্বের মনোযোগ সরাতে চাইছেন। এ কাজে ইরান ইস্যু ব্যবহার করা হচ্ছে। তেহরানের ঐ হামলা প্রতিরোধে ইসরায়েলকে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। তাদের সঙ্গে যুদ্ধ ময়দানে প্রকাশ্যে যুক্ত হয়েছে মুসলিম দেশ জর্ডানও। তারা কয়েক ডজন ইরানি ড্রোনগুলো করে ভূপাতিত করেছে। এদিকে ইসরায়েলকে ঐ সহযোগিতার পর জর্ডানের সাধারণ নাগরিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। তারা তাদের সরকারকে বেঈমান উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। জর্ডানিরা বলছেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে সহায়তা করে তাদের সরকার বেঈমানি করেছে। ফিলিস্তিনের গাজায় নির্যাতিত মানুষের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যারা কয়েক মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন তারা খুবই মর্মাহত হয়েছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct