রঙ্গিলা খাতুন, জীবন্তি, আপনজন: কনকনে শীত, কুয়াশা হালকা বৃষ্টি উপেক্ষা করে খেলা মেলায় পরিনত হল শিক্ষার্থীদের নিয়ে । তার সঙ্গে উদয়চাঁদপুর হাইস্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রাক্তনীদের মেলবন্ধন। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মধ্যেই উঠে এলো স্কুল জীবন থেকে স্কুলের শিক্ষক জীবনের বিভিন্ন ফেলে আসা স্মৃতি। মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার অন্তর্গত জীবন্তির উদয়চাঁদপুর হাইস্কুলে ছিল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। সকাল ১১ টার সময় জাতীয় সংগীত, পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শুভ সূচনা করেন কান্দি সার্কেলের সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক সুশান্ত প্রসাদ দাস, উদয়চাঁদপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসুজ্জোহা বিশ্বাস, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক এবং ‘সোহরাওয়ার্দী পরিবার ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার’ বই এর স্রষ্টা আলিমুজ্জমান, ক্রীড়া শিক্ষক মোঃ বাসারুদ্দিন , বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি মসির আলী ছাড়াও উদয়চাঁপুর হাইস্কুলের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উদয়চাঁদপুর হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম প্রধান শিক্ষক মানোয়ার হোসেন এর স্ত্রী তথা এই স্কুলেরই প্রাক্তন শিক্ষিকা আলেয়া হোসেন।উল্লেখ্য উদয়চাঁদপুর হাইস্কুলে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বড়ো ঐতিহ্য রয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার এই স্কুলের যে সমস্ত শিক্ষার্থী প্রথম, দ্বিতীয় হয় তাদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার দিন “মানুয়ার হোসেন স্মৃতি পুরস্কার” হিসাবে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী তথা স্কুলের শিক্ষিকা আলেয়া হোসেন বলেন “ ১৯৬৭ সালে এই স্কুলের প্রতিষ্ঠা এবং প্রথম প্রধান শিক্ষক। তাই মানোয়ার হোসেন মানে এই স্কুলে রক্তের টান, নাড়ীর টান। সে সারাজীবন এই স্কুলের উন্নতির জন্য ভেবেছেন। তার চলে যাওয়ার পর ২০০০ সাল থেকে অসহায় এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার কথা মাথায় রেখে “মানোয়ার হোসেন স্মৃতি পুরস্কার চালু করা হয়।” প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক এবং লেখক আলিমুজ্জমান বলেন, একটা সময় ছিল যখন গ্রামের মেয়েরা পড়াশোনায় এগিয়ে আসতে চাইতো না, পারিবারিক এবং সামাজিক সমস্যা ছিল কিন্তু ১৯৯৫ পর অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছিল সেই তুলনায় এখন মেয়েরা যেমন এগিয়ে তেমনি স্কুলের অনেক উন্নতি হয়েছে। আমি থাকাকালীন অল্প শিক্ষক নিয়ে স্কুল চালিয়েছি, তাদের মধ্যে অনেকেই ডাক্তার, মাষ্টার, সাংবাদিক এই কথা ভেবে খুব ভালো লাগছে। কান্দি সার্কেলের সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক সুশান্ত প্রসাদ দাস বলেন, সুন্দর পরিবেশ এবং শিক্ষার্থীদের উৎসাহ আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাছাড়া এই স্কুলের মানোয়ার হোসেন স্মৃতি পুরস্কার কথা জানতে পেরে ভালো লাগছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct