আপনজন ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। গাজায় ইসরায়েলের টানা অবরোধের কারণে জ্বালানি সংকটে সেই একমাত্র হাসপাতালটিও বন্ধ হয়ে যায়। টানা একমাস ধরে গাজায় সর্বাত্মক অবরোধও আরোপ করে রেখেছে ইসরায়েল। যে কারণে গাজায় স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। জানা গিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি অবরোধের ফলে বিগত একমাস জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। খাদ্য, জল এবং বিদ্যুতের সরবরাহও ব্যাপকভাবে সীমিত করা হয়েছে। এর ফলে গাজার হাসপাতালগুলো এখন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ও আহতদের ভিড়ে পরিপূর্ণ এবং জ্বালানিসহ নানা সংকট চিকিৎসা কর্মীদের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে। এ ব্যাপারে তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের পরিচালক সুভি সুকেক বলেছেন, এই হাসপাতালটি আর কাজ করছে না। আমরা বিশ্বকে বলব, হাসপাতালকে পরিষেবার বাইরে রেখে ক্যান্সার রোগীদের নির্দিষ্টভাবে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবেন না।’তুর্কি-ফিলিস্তিনি ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অর্থ হলো গাজা ভূখণ্ডের ৩৫টি হাসপাতালের মধ্যে ১৬টিই এখন পরিষেবার বাইরে চলে গেল। এছাড়া গাজার ৭২টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ক্লিনিকের মধ্যে ৫০টিরও বেশি ক্লিনিকও বন্ধ হয়ে গেছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা বলেছেন, ‘পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের ভেতরে চিকিৎসাধীন ৭০ জন ক্যান্সার রোগীর জীবন গুরুতরভাবে হুমকির সম্মুখীন হয়েছে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct