শিবশঙ্কর দাস: সেই করোনাকাল। গভীর সংকট সময়। হঠাৎ লকডাউনে সবাই গৃহবন্দি। সে সময়ে একদিন -
‘বুঝলে নিঘ্যাৎ পায়রাটা কাঁদছে। আমি নিশ্চিত এটা ডাক নয়, কষ্টের গোঙানি।’ ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে শৌনক যার উদ্দেশ্যে বলল সে নিশ্চুপ। বুঝল ঝড় উঠবে। কথা বাড়ালো না আর। দ্রুত ঘরে ঢুকতেই মেঝেতে স্লিপ কেটে প্রায় উল্টে পড়ে যাচ্ছিল। কোনওরকমে দরজার পাল্লাটা ধরে নিজেকে সামলালো।
‘দিলে মোছা ঘরটার বারোটা বাজিয়ে!’ চেঁচিয়ে উঠল অনীশা।
শৌনক নিজেকে ধরে রাখতে পারল না। ‘আর একটু হলেই যে আমার কোমড়টা যেত! কী দিয়ে মুচ্ছো যে ঘরে পা দেওয়া যাচ্ছে না!’
‘কী আর দেব, দিয়েছি আমার মাথা। বাড়িতে কাজের লোক না থাকলে আমি হচ্ছি এ বাড়ির কাজের লোক, চব্বিশ ঘন্টার দাসিবাদি। রান্না করো, বাসন মাজো, ঘর মোছো জামা কাপড় কাচো। কেউ যে একটু দেখে কাজ করবে সে কেউ নেই। শুধু মুখেই দরদ।’
‘একগাদা সার্ফ দিয়ে কি না মুছলেই নয়! সারা বিশ্বের করোনা যেন ওনার ঘরে এসে উঠেছে।’
‘সে তুমি বুঝবে কী? কবে থেকে বলছি একটু বেশি করে বাজার করে রাখো সে কথা তোমার কানে গেছে? সবাই কেমন এক মাস দুমাসের বাজার করে রেখেছে। উনি বললেন বেশি বাজার করতে হবে না। দুদিনেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আগে থেকে যদি একটু বেশি করে বাজার করে রাখতে তো আজ ঠেঙিয়ে বাজার যেতে হত না আর আমাকে এত পরিশ্রমও করতে হতো না।’
শৌনক এবার বুঝল আবহাওয়া এরকম থম মেরে থাকার কারণ। চুপ করে গেল। এই আবাসনে আসার পর দুজনের মধ্যে একটা সমঝোতা হয়েছে। কেউ যখন বেশি উত্তেজিত হবে তখন আর একজন চুপ করে যাবে। সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় শৌনককেই মৌনতা অবলম্বন করতে হয়। তবে শুরু থেকে ফিউজ হয়ে গেলে আবার উল্টো ফল হয়। কোষে জমে থাকা টক্সিন বেরোবার জন্য যতটুকু তাপমপত্রার প্রয়োজন ততটুকু উত্তপ্ত হতেই হবে। নইলে ‘চুপ করে গেলে যে? কথা বলছো না কেন? আমাকে কি পাগল পেয়েছো? একটু খুঁচিয়ে দিয়ে মজা দেখা।’ এ সব শোনার পাশাপাশি ব্যক্তির হাতের কাছে থাকা বস্তুসমূহের মহাশূন্যে মুক্তিবেগ দর্শন করতে হয়। এর মধ্যে যেগুলোর ফ্লেক্সিবিলিটি কম সেগুলো ঝনঝন করে ক্রাস ডাউন করে। তবে ভেরি রিসেন্ট নতুন তরিকা আমদামি হয়েছে। লাভ টেষ্ট। দুম করে নিজের মাথাই দেয়ালে ঠুকতে শুরু করা। তখন দ্রুত এগিয়ে না গেলে রক্তারক্তি কান্ড। সে সামাল দেওয়া এক দুরূহ ব্যাপার। অবশ্য এই পদ্ধতিটা শৌনকের কাছ থেকেই শেখা। অনীশার সঙ্গে যখন পেরে উঠত না শৌনক তখন নিজেকেই প্রহার করত। একবার তো শীতের রাতে শাওয়ার খুলে ট্যাঙ্কির বরফ ঠান্ডা জলে ভিজতে শুরু করেছিল। অনীশাই দৌড়ে গিয়ে টেনে এনেছে। গা হাত পা মুছিয়ে ইস্ত্রিতে তোয়ালে গরম করে সারা গায়ে সেঁক করে দিয়েছে। অবশ্য বকবক করতে করতেই। ‘নিউমোনিয়া হয়ে মরার শখ হয়েছে। আমিও মরতে পারি।’ তারপরেই অনীশের বুকে মাথা। গলা মন্দ্র সপ্তকের গান্ধারে। ‘আচ্ছা আমি একটু বেশি উত্তেজিত হলে তুমি কি একটু থেমে যেতে পারো না। আমি না তোমার চাইতে ছোট। এই দায়িত্বটা তো তোমারই।’
শৌনক ঠান্ডা মাথায় বলল, ‘ঠিক আছে বাবা এবার বলো কী করতে হবে।’
অনীশা নুব্জ কোমড়ে বাঁহাতটা উল্টো করে ঠেকিয়ে ভাঙা গলায় একবার মা গো শব্দ উচ্চারণ করে বলল,‘আমি বলতে পারব না, দেখে করো। কাজের লোক না এলে যদি সব আমার ঘাড়ে পড়ে তো আমি ঠিক ঘর ছেড়ে চলে যাবো।’
শৌনক জানে অনীশার এই ‘ঘর ছেড়ে চলে যাবো’ কথাটা মুদ্রাদোষের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। পরিবেশটাকে আরও একটু হাল্কা করতে বলল। ‘এই লকডাউনে কোথায় যাবে? পুলিশ সুঁটিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেবে।’
‘তুমি তো সেটাই চাও। বৌয়ের বেইজ্জতি তোমার ভালোই লাগে।’
এখানে অবশ্য একটা অন্য হিন্টস আছে। শৌনক পাত্তা দিল না।
‘আরে কী করতে হবে বলবে তো?’
‘বললাম তো দেখে যেটা মনে হয় করো আর না পারলে গিয়ে পায়ড়ার সংসার দেখো, যাও।’
কয়েকদিন ধরে অনীশার বেশ খাটনি যাচ্ছে। বিয়ের আগে বা বিয়ের দীর্ঘ পনের বছরে এমন খাটনি কখনও করতে হয়নি অনীশার। ইউনিভার্সিটি শেষ করতে না করতে স্কুলে চাকরি। আর চাকরি পেতে না পেতেই বিয়ে। সকাল আট্টায় বেরিয়ে যাওয়া আর রাত সাড়ে ছটা সাতটায় ঘরে ঢোকার মধ্যে হেঁশেল ব্যাপারটা ছোটবেলার সখের রা্ন্নাবাটি খেলার বেশি ছিল না। শৌনকেরও প্রায় একই সঙ্গে যাওয়া আসা। তবে ছুটির দিনে দুজন কাজের লোকই একসঙ্গে ডুব দিলে ব্যাপারটা একটু চাপের হয়। তখন অবশ্য ঘরের বায়ুকণা ধূলিকণাও অস্বাভাবিক শব্দ তরঙ্গে কাঁপতে থাকে। শৌনকের স্কুল ছুটি মানে সাইন্স ক্লাবের সিডিউল ওয়ার্ক। তখন এঁটো বাসন রগরানোর ঝনঝনানির সঙ্গে অনীশার মুখেও ফুলঝুড়ি।
লকডাউনের দিন থেকে কাজের দুজনকেই ছুটি দেওয়া হয়েছে। আগেরদিন স্কুল থেকে ফিরেই অনীশা শৌনককে সাবধান করে দিয়েছে, ‘এবার দুজনকেই কিন্তু হাতে হাতে সব কাজ করতে হবে। তুমি সারাদিন ফোন ল্যাপটপ নিয়ে পড়ে থাকবে আর আমি খেটে খেটে মরব সেটা হবে না বলে দিচ্ছি।’
শৌনক মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়। শৌনক জানে কাজে হাত দিলে সঙ্গে সঙ্গে ওকে সরিয়ে দিয়ে অনীশা নিজেই করে নেবে। ‘এটাও একটু ঠিকমত করতে পারো না। এটুকু করতেই ঘেমে নেয়ে একসা। ননীর পুতুল। যাও যাও।’ আসল কথা কাজ অনীশাই করবে কিন্তু শৌনককে পাশে পাশে থাকতে হবে। কতক্ষণ আর পাশে পাশে বিড়ালের মত লেজ নেড়ে মিউ মিউ করা যায়। শৌনক টুক করে সরে যায়। তখনই ব্রহ্মস আছড়ে পড়ে।
বাসন ঘষতে ঘষতেই শৌনক বলে, ‘বুঝলে পুরুষ পায়রাটা ভেগেছে। এ জন্যই মাদিটার সারাক্ষণ কান্না শোনা যায়। এখন ডালে বসেও কাঁদছে।’
‘স্বভাবটা তোমাদের মতোই। এই তুমিই কোথায় কী করে রেখেছো সে কি আর আমি জানি? নাহলে বাড়িতে থাকো তো সারাক্ষণ মোবাইলে। কী আছে এমন? ছুটির দিনে বৌয়ের সঙ্গে দুটো ভালো কথাও বলতে শুনি না। বিয়ের আগে তো মুখে খই ফুটত। বিয়ে হয়েছে মানে এখন আমার সম্পত্তি যেমন চালাব তেমনি চলবে। নাও সরো, বাসন মেজে উদ্ধার করে দিয়েছো। ’
কয়েকদিন ধরেই শৌনক একমনে পায়রাটার ডাকের ভ্যারাইটি অ্যানালিসিসে মগ্ন। গাছের ডালে বসা পায়ড়াটার মাথা নিচু করে হুঁ হুঁ করা শুনে আজকে নিশ্চিত হয়েছে যে পায়ড়াটা কাঁদছে।
শৌনকদের চারতলার ফ্লাটের বাথরুমের পেছনের সানশেডে একজোড়া বুনো পায়ড়া থাকত। সকাল সন্ধ্যা বাথরুমে গেলেই শৌনক ওদের প্রেমালাপ শুনতে পেত। মদ্দাটার বকম বকম আর মাদিটার হুঁ হুঁ। একদিন সকালে শৌনক টুক করে গিয়ে অনীশাকে জড়িয়ে ধরে বাথরুমের মধ্যে টেনে আনল। অনীশা ঝাঁজিয়ে উঠল, ‘ছাড়ো তো এখন, সকালবেলা এসব ভালো লাগে না।’
শৌনক বলল, ‘আরে একটু চুপ করে শোনই না।’
‘কী শুনব? কী এমন প্রেম উথলে উঠল তোমার সকালবেলা!’
‘আরে আমার না পায়রার। ওই দেখো কেমন প্রেমালাপ করছে। শুনতে পাচ্ছ?’
অনীশা হাত ছাড়িয়ে বলল, ‘আমার আর শুনে কাজ নেই। তুমি শোন। আমার এখন অনেক কাজ রয়েছে।’
দিনের বেলার বেশিরভাগ সময় পায়রা জুটি গাছের ডালে বসেই খুনসুটি করত। শৌনক ব্যালকনিতে এলেই মনে হয় যেন লজ্জা পেত আর উড়ে পালাত।
শৌনকদের আবাসন লাগোয়া একটা রাধাচূড়া গাছ আছে। চারতলার ব্যালকনি থেকে হাত বাড়ালেই তার ডালপাতা ছোঁয়া যায়। অবসর পেলেই শৌনক এখানে এসে ব্যালকনির রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে থাকে। গাছের পাতায় হাত বুলোয়। গাছের মাথার ডালপালাগুলোর দিকে তাকালেই শৌনকের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। বারো চৌদ্দ বছর বয়স। বন্ধুরা মিলে চলে যেত টিবি হাসপাতালের মাঠে। রাস্তার দুধারে এরকমই লম্বা লম্বা রাধাচূড়া গাছের মাথায় কাকেরা বাসা করত। শৌনকরা বাঁদরের মত ঝুলতে ঝুলতে মগডালে পৌঁছে কাকের বাসায় হানা দিয়ে কাকের ডিম পেড়ে এনে কোকিলের ডিম খুঁজত। নমনীয় ডালগুলোর মাথায় যখন দোল খেত তখন বুকের মধ্যে রক্ত ফিনকি দিলেও মজা পেত। দূরের দিকে তাকিয়ে আকাশের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার একটা রোমাঞ্চ অনুভব করত। এখন পাঁচ তলার ছাদে উঠলেও তেমন মনে হয় না। তবে ব্যালকনিতে গাছটার বুকের কাছে দাঁড়ালে পুরোনো ভালোলাগার কিছুটা স্বাদ ফিরে পায়।
এই গাছে কাকের বাসা নেই তবে ডালে ডালে কাক বসে অবসর সময় কাটায়। আর কিছু থাকে বুনো পায়ড়া। লকডাউনের পর থেকে সেগুলোও কেমন যেন ছন্নছাড়া। অনেকগুলো পালিয়ে কোথায় যেন গেছে। সেই সঙ্গে পালিয়ে গেছে এখানে থাকা পায়রাজুটির একটা। এখন একটা পায়ড়ার ডাকই শোনে শৌনক। সেই ডাকের মধ্যে যে একটা ব্যথা লুকিয়ে আছে তা যেন আজই আবিষ্কার করল।
পায়রার সঙ্গে শৌনকের একাত্মতা ছোটবেলা থেকেই। বাড়িতে এক ঝাঁক নানা রঙের পায়ড়া ছিল। সবই পোষা। শৌনকের মনে হয় পায়রার প্রেম বিরহ সন্তান প্রতিপালন এলাকা দখল মাস্তানি আবার জোটবদ্ধ থাকা সবই যেন মানুষের মতন।
হঠাৎ চিঁহি চিঁহি শব্দ শুনে শৌনক আবার ছুটে এল ব্যালকনিতে। ডালে ডালে চার পাঁচটা পায়রা। একটা বাচ্চা পায়রা ডানা ছড়িয়ে চিঁহি চিঁহি করে দুটো পায়ড়ার কাছে ছুটে ছুটে যাচ্ছে। একটা পায়রা ওর মুখে খাবার উগড়ে দিচ্ছে আর মাঝে মাঝে বকম বকম করছে। এই পায়রাগুলিকে দেখে বোধ হয় আগের পায়রাটা উঠে দাঁড়িয়েছে। বাচ্চা পায়রাটার খাওয়া হয়ে গেলে দুটোর একটা উড়ে এল একা থাকা পায়রাটার কাছে। এতক্ষণ যে বিষণ্ণ ছিল সে দ্বিগুন উৎসাহে বক বক বকম বকম করে উঠল। হঠাৎ করে যে পায়রাটা খাওয়াচ্ছিল সেটা উড়ে এসে পায়ড়াটাকে আক্রমন করল। এও ছাড়ার পাত্র নয়। শুরু হল দুজনের লড়াই। এতক্ষণে শৌনকের কাছে পায়রার কান্নার সব রহস্য পরিস্কার হয়ে গেল। যাকে সে মাদি ভেবেছিল সে আসলে মদ্দা। আগে যে পায়রাটা এসেছিল সে উড়ে বাসায় এসে বসল। পিছনে আক্রমনকারী পায়রাটাও। তার পেছনে বাসার মালিকও। আবার লড়াই। কেউ কাউকে ছাড়ে না। শেষ পর্যন্ত মাদিটাকে রেখে বাচ্চা সহ পায়ড়াটা চলে গেল।
এতক্ষণ ‘তুমি কোথায়? তুমি কোথায়?’ অনীশার গলা কানে এলেও পায়রা ছেড়ে শৌনক যেতে পারছিল না। হঠাৎ একটা ধপাস শব্দ শুনল সঙ্গে ‘ও মা গো! আমি মরে গেলেও এ বাড়িতে কারুর সারা পাওয়া যাবে না!’
দ্রুত ছুটে এল শৌনক। অনীশা মেঝেতে চিৎ হয়ে পড়ে কাৎরাচ্ছে। হতভম্ব শৌনক অনীশাকে কোনওরকমে ধরে বিছানায় তুলল। কোমড়ে লেগেছে। সোজা হয়ে বসতেও পারছে না। এখন হাসপাতালে যাওয়া আর এক সমস্যা। পরিচিত এক ডাক্তারকে ফোন করে ওষুধ আনাল। অনীশাকে ওষুধ খাইয়ে কোমড়ে বাম মালিশ করে দিল। তবুও অনীশা উঠে বসতে পারল না। শৌনক বাকি রান্না সেরে ছেলেকে খেতে দিয়ে অনীশাকে খাইয়ে দিল। রাতে অনীশার কোমরের ব্যথা একটু কমলেও উঠে বসতে পারল না। শুয়ে শুয়ে শৌনককে বলল, ‘কদিনে আমার এ কোমর সারবে তার ঠিক নেই। তোমার ওপর সব চাপ এসে পড়ল। এখনও কাজের লোক নিতে পারব না। বেশি কিছু করতে হবে না। যে কদিন আমি সুস্থ না হই ফ্রিজে ডিম আছে, ডিমের ঝোল আলু সেদ্ধ ভাত করে কোনওরকমে চালিয়ে নিও।’
শৌনক বলল, ‘ও নিয়ে চিন্তা কোরো না। কোমরে কোনও চিড়ফির ধরেনিতো সেটাই এখন চিন্তার।’
‘মনে হয় ধরেনি। ধরলে আরও যন্ত্রণা হত।’
‘বুঝলে আজকে একটা মজা হয়েছে। যে পায়রেটাকে আমি মেয়ে পায়রা ভেবেছিলাম সেটা আসলে পুরুষ পায়ড়া। মেয়েটাই আর একটার সঙ্গে ভেগে গেছিল। আজ নতুন বর বাচ্চা সঙ্গে নিয়ে এসেছে। নতুনটার সঙ্গে পুরোনোটার ধুন্ধুমার হল। শেষে বাচ্চা নিয়ে নতুনটা চলে গেছে। বাসায় এখন থেকে থেকেই বকম বকম হচ্ছে।’ ‘এতদিনে আমিও তোমাকে ছেড়ে চলে যেতাম। নেহাত এ মনটা আর কাউকে দিতে পারছিনা তাই। সুযোগ তো আর কম ছিল না।’ অনীশা একটু কড়া সুরে বলল। অনীশার হাতের মধ্যে থাকা শৌনকের হাতদুটো হঠাৎই ঠান্ডা হয়ে গেল। অনীশা বুঝতে পারল। হাতদুটো ধরে এক হ্যাচকা টানে শৌনককে বুকের মধ্যে এনে ফেলল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct