সুব্রত রায়, কলকাতা: বুধবার ছিল প্রতিমা নিরঞ্জনের দ্বিতীয় দিন। কলকাতা পুরসভা, কলকাতা পুলিশ যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য তৎপর। বুধবার দুপুরে বাজে কদমতলা ঘাট পরিদর্শন করে কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন,
আমরা ক্রেন নামিয়েছি। প্রতিমা যাতে জলে বেশিক্ষণ না পড়ে থাকে তার জন্য আমরা প্রচুর সংখ্যক ক্রেনের ব্যাবস্থা করেছি। প্রতিটি দফতরের ডিজিরা রয়েছেন। কলকাতা পুলিশ আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করছে।
আজ, কাল কলকাতার বিভিন্ন ঘাট গুলোয় বিসর্জন চলবে। ৪৯১ টা বিসর্জন হয়েছে মঙ্গলবার। আশা করছি এই সংখ্যাটা আরো বাড়বে।
গড়িয়া অঞ্চলে পুকুরগুলিতে
৪১১ টা বিসর্জন হয়েছে বুধবার। কার্নিভালের দিন আরো প্রতিমা নিরঞ্জন হবে। সেইদিন ৮০-৮৫ টা প্রতিমা নিরঞ্জন হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেইদিন এখানেই প্রতিমা নিরঞ্জন হবে তাই এখানেই ব্যবস্থা করে রাখছি আমরা।
একটি ক্লাবের এক পুজোর উদ্যোক্তা বলছেন পুলিশ প্রশাসন তাদের পুজো বাঁধা দিয়েছেন বন্ধ করে দিয়েছিল তাদের পুজো। এই প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন,পুলিশকে পুলিশের কাজ করতে দিতে হবে। আমার নিজের পুজোতেও অপ্রত্যাশিত ভিড় হয়ে গিয়েছিল। তখনও আমার পুজোর মণ্ডপ বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদি পুজো উদ্যোক্তরা এই দায়িত্বগুলি নিতে পারেন তাহলে পুলিশ তাদের কাজ থেকে সরে যাবে। কলকাতা হাইকোর্টের কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে তারা নিজেরা নিজেদের মতো পুজো করবেন।পুজো শেষ হতেই জেলায় জেলায় সংঘর্ষ এই প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, এখানে যা হয় তা তৃণমূলের নামে চাপিয়ে দেওয়া হয়। কারোর সাথে ব্যাক্তিগত ঝামেলা অশান্তি হলে সেটাও তৃণমূলের নামে চাপানো হয়।
স্কুলের পাঠ্য পুস্তক ইন্ডিয়ার বদলে ভারত। এই প্রসঙ্গে ফিরহাদের মন্তব্য, ওনারা ভয় পাচ্ছেন। ভারতীয় সংবিধান কিভাবে চেঞ্জ করবেন? এইগুলো নিম্ন মানের পলিটিক্স।
ডিওয়াইএফআই-এর লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রসঙ্গে মেয়রের মন্তব্য, মমতা দির দেখানো পথে যদি কোনো পার্টি উন্নয়ন করতে চায় এতে কি বলার আছে?
সাংসদ মহুয়া মৈত্র প্রসঙ্গে মেয়রের মন্তব্য,আমরা সবাই পাশে আছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct