আরবাজ মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: অর্থকারী ফসল হিসাবে পাট চাষ করে আর্থিক সংকটে পাট চাষিরা। বর্তমানে পাট বিক্রি নেই, তাই পূজোতে সন্তানদের কিভাবে নতুন জামা কাপড় কিনে দেবেন সেই চিন্তায় চোখে জল পাট চাষিদের।জেলার অধিকাংশ চাষি অর্থকারী ফসল হিসাবে পাট চাষ করেন। এবছর পাট চাষ করে আর্থিক সংকটে পড়েছেন একাধিক পাট চাষিরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে পাটের দাম নেই, বাজারে পাট বিক্রি হচ্ছে না। এবছর পাট চাষের ক্ষেত্রে অত্যাধিক অর্থ ব্যয় হয়েছে। পাট চাষে যেমন প্রয়োজন অত্যাধিক শ্রমিক পাশাপাশি পাট পচানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজন জলাশয়। এবছর প্রাকৃতিক খামখেয়ালির কারণে সঠিক সময়ে বর্ষা হয়নি। বর্ষা বা বৃষ্টির জল না হওয়ার কারণেই জলাশয় গুলো জলশূন্য হয়ে ছিল। পাট পচানোর ক্ষেত্রে কৃষকরা তাদের চাষের জমিতেই গর্ত করে ডিজেল মেশিন বা ইলেকট্রিক মটরের সাহায্যে জল ভরে পাঠ পচিয়েছেন। আর তাতেই অত্যাধিক অর্থ ব্যয় হয়েছে বলেই জানালেন কৃষকরা।এবছর পাটের সঠিক দাম না থাকায় পাট চাষের খরচ উঠবে না বলেই আশঙ্কা করছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজারে পাট বিক্রি হচ্ছে না। আর হাতেগোনা কয়েকদিন পরেই বাংলি দুর্গাপুজো, তার আগেই আর্থিক সংকটে দিন কাটছে পাট চাষিদের। দুর্গা পুজোয় পাট বিক্রি করে ছেলেমেয়েদের নতুন জামা কাপড় কিনে দেন পাট চাষিরা। এবছর পাটের দাম নেই, পাট কেনার ক্রেতার সংকট। পুজোর আগে পাট বিক্রি করেই প্রতিবছর নতুন জামা কাপড় কিনে দিতেন পরিবারের পরিজনদের। এবছর পাট বিক্রি হয়নি তাই পুজোর আগেই চোখে জল পাট চাষিদের। কিভাবে তারা পুজোর দিনগুলো কাটাবেন এবং আগামীতে কিভাবে নতুন করে চাষ শুরু করবেন সেই দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে। পাট চাষি জয়ন্ত মন্ডল বলেন, পুজো এসছে বাজারে পাট বিক্রিয় হচ্ছে ছেলে মেয়ে নতুন পোশাক কিনে দিতে পারছি না। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলে পাট কেনার ব্যবস্থা করলে ভাল হয়। আগামী দিন পাট চাষ করতে গিয়ে চাষিরা ভাববে এবছরে চাষিদের দুর্দিন চলছে বাজারে গিয়ে পাটের মহাজনদের বলে তারা বলছে পাট বিক্রি নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct