আপনজন ডেস্ক: তেহরানের পাতাল রেলে দেশটির নীতি পুলিশের লাঞ্ছনার পর ১৬ বছর বয়সী এক ইরানি মেয়ে কোমায় চলে গেছে। হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। কুর্দিকেন্দ্রিক অধিকারগোষ্ঠী হেনগাও মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।হেনগাও বলেছে, আর্মিতা গারাওয়ান্দ নামের ওই কিশোরী তেহরানের মেট্রোতে নীতি পুলিশের নারী সদস্যদের সঙ্গে লড়াইয়ে গুরুতর আহত হয়েছিল।তেহরানের বাসিন্দা হলেও সে মূলত কুর্দি জনবহুল পশ্চিম ইরানের কেরমানশাহ শহরের।অন্যদিকে ইরানের কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, মেয়েটি নিম্ন রক্তচাপের কারণে ‘অজ্ঞান’ হয়েছে। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।নারীদের জন্য কঠোর পোশাকের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মাহসা আমিনির মৃত্যুর মাত্র এক বছরেরও বেশি সময় পর ইরানি কর্তৃপক্ষ সামাজিক উত্তেজনার যেকোনো উত্থানের জন্য উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে।আমিনির মৃত্যু বেশ কয়েক মাসের বিক্ষোভের জন্ম দেয়, যা ইরানের ধর্মযাজক নেতৃত্বকে বিচলিত করে। সেই বিক্ষোভ দমনে কর্তৃপক্ষ হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত হয়েছে শত শত মানুষ।হেনগাও বলেছে, রবিবার তেহরানের শোহাদা মেট্রো স্টেশনে তথাকথিত নীতি পুলিশের এজেন্টদের হাতে ধরা পড়ার পর গারাওয়ান্দকে গুরুতর জখম করা হয়েছে।তাকে তেহরানের ফজর হাসপাতালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে তাকে দেখার অনুমতি নেই, এমনকি পরিবারের কারোরও না। গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, শার্ঘ দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক মরিয়ম লোতফি ঘটনার পর হাসপাতালে পরিদর্শন করতে চাইলেও সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করা হয়। পরে অবশ্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।এদিকে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct