শামিম মোল্যা, বসিরহাট: নদীর বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন কয়েকটি গ্রাম।কলাগাছির নদীর ভাঙন রুখতে তৎপর সন্দেশখালি ব্লক প্রশাসন।১৯ সেপ্টেম্বর বাঁধ ভেঙে প্লাবনের মুখে সন্দেশখালি দু নম্বর ব্লকের মনিপুর পঞ্চায়েতের আতাপুর গ্রাম। ভাঙন ঠেকাতে তড়িঘড়ি ময়দানে নামে ব্লক প্রশাসন ও সেচ দপ্তর। শুরু হয়েছে বাঁধ মেরামতের কাজ। আয়লার প্রাকৃতিক বিপর্যয় পরে কেমন কোন বড় ভাঙ্গন দেখেনি সন্দেশখালীর মানুষ। কিন্তু সেই স্মৃতি আবারও ভাঙ্গনের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সন্দেশখালীর দু’নম্বর ব্লকের মনিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আতাপুর গ্রামের বাসিন্দারা।
সোমবার রাতে আচমকাই আতাপুর গ্রাম সংলগ্ন তালতলা ঘাট থেকে বেশ কিছুটা দূরে আয়লার বাঁধ বসে যাওয়ায় এর ফলে কলাগাছি নদীর জল ঢোকে গ্রামে। ভাঙ্গনের আতঙ্ক গ্রাস করে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে বাঁধ মেরামতের তৎপরতা শুরু হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু এদিন দুপুরে জোয়ারে আবারো প্রথমে বাঁধ ছাপিয়ে জলঢকে পরে আরো ৩০০ থেকে ৩৫০ ফুট এলাকা জুড়ে ভেঙে যায় কলাগাছি নদীর বাঁধ। বাঁধ ভেঙে জল ঢুকতে শুরু করে গ্রামে। প্রাথমিকভাবে বাঁধ সংলগ্ন মেছো ভেরীগুলো ভরে যায় নদীর জল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আনুমানিক ২০০ টি বাড়ি জলে বুড়ে যায় বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। নদীর জলে আটকে পড়েন বহু ঔ গ্রামবাসীরা। দুপুরে জোয়ারের জল কিছুটা নামতেই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করে ব্লক প্রশাসন। ভাঙ্গনের বিষয় নিয়ে কথা বললে সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, বেশ কিছুটা নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আচমকাই জল ঢুকে যায় গ্রামে তবে সেই হারে ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর নেই। বাঁধ মেরামতের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশাসনের উপরে ক্ষোভ দীর্ঘদিন ধরেই। নদীর বাঁধ ভাঙলেই কোন রকমে মাটি দিয়েই সেই বাঁধ মেরামতি করা হয়। বর্ষাকাল আসলেই তা ভেঙে আবার গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়। তাই প্রশাসনের কাছে বারে বারে অনুরোধ জানিয়েও সন্দেশখালি নদীমাতৃক এলাকায় সবার সত্বেও কংক্রিটের বাঁধ করছে না প্রশাসন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct