নিজস্ব প্রতিনিধি, হলদিয়া, আপনজন: পুকুরের জলে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হল । হলদিয়া ব্লকের ঈশ্বরদহ-জালপাই গ্রামের ঘটনা । মৃত শান্তনু দাস ৮ বছর এবং ক্ষীরচন্দ্র রাণা ৮বছর । একই গ্রামেরই পাশাপাশি দুটি পরিবারের দুই শিশু। দুজনই একই সঙ্গে খেলাধুলা করতো এবং স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীতে দুজনে পড়াশোনা করত । প্রত্যেক দিনের মতো তারা স্কুলে গিয়েছিল । কিন্তু এদিন স্কুলের কাজ চলেছিল বলে তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে যায় । দশটা নাগাদ বাড়ি ফেরে দুজনে । বাড়ি পৌঁছে খেলার জন্য বেরিয়ে যায়। দুজনেরই বাবা কাজ করেন ভিন্ন রাজ্যে এবং পরিবারের দুজনের পরিবারের অনেকে সদস্য আছেন ।কিন্তু যে যার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সময় ঘটে যায় ঘটনা। বেশ কিছু সময় না দেখতে পেয়ে তাদের খোঁজ শুরু হয় । কোন রূপ তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না । শেষমেষ পাড়ার এক পুকুরে খোঁজ করা হয় । পুকুরের জলে ডুবে থাকা পরপর দুটি দেহ তোলা হয় । ঘটনায় দুই পরিবারের পাশাপাশি গোটা এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।।শান্তনুর দিদি সুমনা দাস জানান,”ওরা যেখানেই যায় একসঙ্গে যায় । একসঙ্গেই খেলাধুলা, আড্ডা সবকিছুই করে । সম্ভবত খেলতে গিয়ে একজন পুকুরে পড়ে যায় । তাকে তুলতে গিয়ে বাকিজন পুকুরে নামে । কিন্তু কেউ সাঁতার জানত না । দুজনের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ।” তবে দুই শিশুর দেহ উদ্ধার হলেও বুধবার রাতভর পর্যন্ত তাদের বাড়িতেই রেখে দেওয়া হয় । কারণ মৃত দুই শিশুর বাবা ভিনরাজ্যে কর্মরত অবস্থায় আছেন। তারা বৃহস্পতিবার পৌঁছন পর্যন্ত বাড়িতে দুটি দেহ রেখে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছে ভবানীপুর থানার পুলিশ । ঘটনার সবকিছু খতিয়ে দেখে তদন্ত করছে। স্থানীয় বাসিন্দার দাবি বাচ্চা দুটো যখন খেলা করছিল ওই দুই পরিবার এক পিতা পরমেশ্বর নামক ধর্মে মাতোহারা হয়ে গিয়েছিল। তখন তাদের বাচ্চার কোন খেয়াল ছিল না এবং সেই পর্যায়ে দুটি বাচ্চার প্রাণ গেল । ওরা কোনরূপ ওই সময় খোঁজ করেননি ওই বাচ্চাদের। ওরা যদি বাচ্চাগুলোর খেয়াল রাখতো তাহলে এইরকম ঘটনা হত না। “রাতভর দুই শিশুর মৃতদেহ আগলে রাখেন দুই পরিবার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct