দুই কিংবা তিন সন্তানের মা। সবাই নীচু স্তরের শ্রমিক। পিরিয়ড হলে মালিকের নানা গঞ্জনা শুনতে হয়। মাঝেমধ্যে বেতনও কাটা যায়। আর তাই পেটের তাগিদে, অভাবের তাড়নায় অপারেশন করে জরায়ু কেটে ফেলে দিচ্ছেন মহারাষ্ট্রের শ্রমিক শ্রেনির মহিলারা। জরায়ু কেটে ফেললে সেই মহিলারা শারীরিক যন্ত্রণা যত না ভোগ করেন, তার চেয়ে মানসিক যন্ত্রণা অনেকবেশি।এই অসভ্যতা, পাশবিকতা ঘটনা কেনও ঘটছে? শ্রমিক শ্রেনির ওই মহিলাদের একটা বড় সমস্যা, পিরিয়ড। এই কর্মজীবীদের মধ্যে তারাই পিরিয়ড নিয়ে বিব্রত, যারা মূলত শ্রমিক। সেই সভ্যতার শুরু থেকেই এদেশে পিরিয়ডের সময়টাতে মহিলাদের অস্পৃশ্য অশুচি বলে গণ্য করে। তাকে হয় ঘরের কোণে আবদ্ধ থাকতে হয়, অথবা একা থাকতে হয় সবাইকে এড়িয়ে। সামাজিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সেই মহিলাদের নিষিদ্ধ করা হয়।শহরের শিক্ষিত মানুষের মধ্যে সামান্য পরিবর্তন আনা সম্ভব হলেও গ্রামের চিত্র একেবারে আলাদা।যেসব পরিবারে মহিলা ও পুরুষ উভয়েই কাজ করে। দিনমজুর হিসেবে শিল্প বা কৃষি খাতে। সাম্প্রতিক সময়ে যে ঘটনাগুলো আলোড়ন তুলেছে, তার একটি মহারাষ্ট্রে। কমক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হওয়ায় হাজার হাজার তরুণী স্বেচ্ছায় জরায়ু কেটে ফেলছেন হাসপাতালে গিয়ে। রাজ্যসভায় মহিলাদের এই অবমাননাসূচক শারীরিক ক্ষতির প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন বিধায়ক নীলম ঘোরে। তাঁর কথার একমত হয়ে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে জানান, ৩ বছরে বীদ জেলায় ৪ হাজার ৬শ ৫ টি হাইসটেরেকটমি সার্জারি হয়েছে। এই সার্জারিতে মহিলাদের প্রজননতন্ত্রের প্রায় সব কিছুই কেটে ফেলা হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct