আপনজন ডেস্ক: স্মার্টফোন ছাড়া এখন যেন এক মুহূর্তও চলা যায় না। বাংলাদেশেও স্মার্টফোনের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এর উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন অনেকেই। মূলত ব্যক্তিগত, পেশাগত সমস্ত তথ্যের কারণে স্মার্টফোন যে মানুষের জীবনের একটা অপরিহার্য বস্তু হয়ে উঠেছে তা বলাই বাহুল্য। তবে ভবিষ্যতে স্মার্টফোনের অস্তিত্ব সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে যাবে! কথাটা হয়তো অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য এবং হাস্যকর লাগবে। অবশ্য লাগাটাই স্বাভাবিক। তবে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এমন কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন যা মোবাইল ফোনের ভবিষ্যতকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
স্মার্টফোন কী সত্যিই শেষ হয়ে যাবে : আজকের আধুনিক যুগে প্রযুক্তি খুব দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কিপ্যাড ছেড়ে আমরা পৌঁছে গেছি টাচপ্যাডে। এমতাবস্থায় মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এক বিশেষ ধরনের দাবি রেখেছেন। বিল গেটস বলেছেন, আগামী সময়ে ইলেকট্রনিক ট্যাটু স্মার্টফোনের জায়গা নিতে পারে, যার কারণে স্মার্টফোনগুলো বাজার থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এই ইলেকট্রনিক ট্যাটুগুলো CHAOTIC MOON নামে একটি সংস্থা চালু করেছে, যা এক ধরনের জৈব প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে ট্যাটু তৈরি করে। এই ট্যাটুগুলোর মাধ্যমে, মানবদেহ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়, যার কারণে এগুলো বর্তমানে খেলাধুলা এবং চিকিৎসা লাইনে ব্যবহৃত হয়। সংস্থাটি এই ট্যাটুগুলো নিয়ে আরো নানান ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে যা ভবিষ্যতে স্মার্টফোনের জায়গা নিতে পারে।
বড় কথা বললেন নকিয়ার সিইও : নকিয়া কোম্পানির সিইও পেক্কা লুন্ডমার্কও স্মার্টফোনের অদৃশ্য হওয়ার বিষয়ে একটি বড় বিবৃতি দিয়েছেন, যার মতে সিক্স জি প্রযুক্তি ২০৩০ সাল নাগাদ শুরু হবে এবং সেই সময়ে স্মার্টফোন তার সাধারণ ইন্টারফেসে থাকবে না। নোকিয়ার সিইও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে মোবাইল ফোনের জায়গায় স্মার্ট চশমা বা অন্য কোনো ধরনের পণ্য ব্যবহার করা হবে, যা সরাসরি আমাদের শরীরের সাথে কানেক্টেড হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে ভবিষ্যতে এই বিষয়টি আমাদের জীবনকে আবার পুরোপুরি বদলে দেওয়ার কাজ করবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct