আপনজন ডেস্ক: প্রতিটা বাড়ির শিশুর মধ্যে একটা জিনিস প্রায় দেখা যায়। বাইরের খাবারের প্রতি লোভ থাকলেও ঘরের খাবার মুখে তোলে না। যার ফলে মায়েরা চিন্তায় দিন কাটান। এ কারণেই বাধ্য হয়ে জোর করে খাবার খাওয়ান বাবা মায়েরা। তবে জোর করে শিশুকে খাওয়ানো ঠিক নয়। আর এ কারণে অজান্তে শিশুর ক্ষতি ডেকে আনেন তারা। শিশুকে জোর করে খাওয়ালে তারা ভালো করে না চিবিয়েই গিলে ফেলে। ফলে এই খাবার তাদের শরীরে কাজে লাগে না। আর আস্ত খাবার গিলে খেতে গিয়ে শিশু বমি করে। দীর্ঘদিন ধরে শিশুকে জোর করে খাবার খাওয়ালে তাদের হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার দিলে খাওয়ায় তাদের পাচনতন্ত্রকে অধিক পরিশ্রম করতে হয়। এর ফলে পাচনতন্ত্র ভালোভাবে কাজ করতে পারে না। জোর করে খাবার খাওয়ালে শিশু প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খেয়ে ফেলে। জোর করে বেশি খাবার খাওয়ালে খাবারের একটি বড় অংশ ফ্যাট হিসেবে শরীরের জমে যায়। যা ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। গলায় খাবার আটকে গিয়ে শিশুর মারাত্মক বিপদ হতে পারে। ছোটদের মুখে জোর করে খাবার দিলে তারা কাঁদতে শুরু করে। তখন গলায় খাবার আটকে দম বন্ধ হয়ে আসতে পারে ও খাবার গিলতেও সমস্যা দেখা দেয়। শিশুদের ও গ্যাসের সমস্যা হয়। বিশেষ করে ঠুসে খাবার খাওয়ানো হলে বাচ্চাদের মুখ দিয়ে অতিরিক্ত বাতাস ঢুকে পেটে। অন্যদিকে গিলে খাবার খেলে তা হজমে দেরি হয়। ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এই গ্যাসই শিশুর কষ্ট কাঠিন্যের অন্যতম কারণ। জোর করে খাওয়ানোর ফলে শিশুরা খাবারের স্বাদ বুঝে উঠতে পারেনা। আর স্বাদ বুঝতে পারে না বলেই তারা খাবার মুখে তুলতে চায় না। তাদের মধ্যে খাবারের প্রতি অনীহা গড়ে ওঠে। এ সমস্যার অন্যতম সমাধান হল, শিশুকে জোর করে খাবার খেতে না চাইলে তাকে ভয় দেখিয়ে খাওয়ানোর চেয়ে বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বোঝানোর চেষ্টা করুন। প্রতিদিন একই খাবার খাওয়াবেন না শিশুকে। দৈনিক তাদের মেন্যু পরিবর্তন করুন। শিশুরা রঙবেরঙের খাবার খেতে পছন্দ করে। এজন্য তাদেরকে নানা রঙের শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ান। তাও আবার ভালোভাবে পরিবেশনের মাধ্যমে। দেখবেন স্বাভাবিকভাবেই তাদের খাবারের ইচ্ছে বাড়বে। একবারে অতিরিক্ত খাবার না দিয়ে শিশুকে অল্প অল্প করে বারবার খাওয়ান। এর ফলে শিশুর খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়বে আর সহজে হজম করতে পারবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct