আপনজন ডেস্ক: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার প্রতিনিয়ত বাড়ছে। হ্যাকারদের কাছেও চলে গেছে এ প্রযুক্তি। বর্তমান সময়ে নিজের ব্যবহৃত ডিভাইস ও ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় ব্যবহারকারীকেই সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে বেশকিছু বিষয় অবলম্বন করতে হবে। সবচেয়ে ভালো পন্থা, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ও বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশন ব্যবহার। নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রথম ধাপেই রয়েছে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার। আর এজন্য সিম্বল, নাম্বার, আপার ও লোয়ারকেস অক্ষর ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি অপশন থাকলে বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেশিয়াল রিকগনিশন ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া বিশ্বস্ত সূত্র থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন। গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে সাধারণত নিরাপদে অ্যাপ ডাউনলোড করা যায়। তবে চাইলে তৃতীয় পক্ষের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা যায়। অধিকাংশ প্লাটফর্মই নিরাপদ থাকে না। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিনিয়ত ব্যবহৃত সফটওয়্যারে কোম্পানি থেকে আপডেট দেওয়া হয়। মূলত ডিভাইসকে ম্যালওয়্যার ও অন্যান্য আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতেই আপডেট দেওয়া হয়। তাই আপডেট আসার পর তা দ্রুত ইনস্টল করে নিতে হবে। ভিপিএনের মাধ্যমে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করবেন না। সবার জন্য উন্মুক্ত থাকা ওয়াইফাই নেটওয়ার্কগুলো সাধারণত হ্যাকারদের জন্য স্বর্গ। কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় এসব নেটওয়ার্কে যুক্ত হলে যেকোনো ধরনের তথ্য বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। অনলাইনে ব্যক্তিগত বা পারিবারিক যেকোনো তথ্য শেয়ার করার আগে কয়েকবার ভাবতে হবে। বিশেষ করে বাসার ঠিকানা, ফোন নম্বর, সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য ইত্যাদি। এসব তথ্যের অপব্যবহারের মাধ্যমে হ্যাকাররা অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ গুরুতর অপরাধ করতে সক্ষম। বর্তমানে স্মার্টফোনকে ম্যালওয়্যারসহ যেকোনো ধরনের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য বিভিন্ন সিকিউরিটি অ্যাপ রয়েছে। এসব অ্যাপ ডিভাইসে কোনো ম্যালওয়্যার আছে কিনা সেটি শনাক্তে সহায়তা করবে। এছাড়া ক্ষতিকর ওয়েবসাইট বন্ধ করা ও ক্ষেত্র বিশেষে ডিভাইসের অবস্থানও জানাবে। স্মার্টফোন যেকোনো সময় চুরি হতে পারে। তাই প্রয়োজনীয় তথ্য চিরতরে হারানোর আগে সেগুলো সবসময় ব্যাকআপ করা জরুরি। এজন্য ক্লাউড সার্ভার, কম্পিউটার বা এক্সটার্নাল হার্ডড্রাইভও রয়েছে। ই-মেইল বা মেসেজের মাধ্যমে নামী কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে স্ক্যামাররা আপনাকে বিপদে ফেলতে পারেন।এ ধরনের হামলায় ব্যাংক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুরূপ লিংক পাঠানো হয়। কিন্তু সেগুলোয় ম্যালওয়্যার থাকে। ক্লিক করার সঙ্গেই তা পুরো সিস্টেমে ছড়িয়ে পড়ে। তাই কোনো লিংক দেখলেই ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে ও যাচাই করতে হবে। কোনো অ্যাপ ইনস্টলের পর সেটি চালানোর জন্য বেশ কিছু বিষয়ের অনুমতি দিতে হয়। এর মধ্যে ডিভাইসে থাকা কনটাক্ট, লোকেশন, মাইক্রোফোন, স্টোরেজ ও ক্যামেরা অন্যতম। এসব তথ্য খুবই সংবেদনশীল। তাই এই সব বিষয়ে বাড়তি সর্তক থাকবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct