নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: জল নিকাশের জন্য পঞ্চায়েত থেকে বসানো হিউম পাইপ তুলে ফেলে দিয়ে ড্রেন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ওই ব্যবসায়ী ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তুলসীহাটা নয়াটোলা সরকার পাড়ায়। অভিযোগ, স্থানীয় ব্যবসায়ী চন্দন সাহার বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা অভিযোগ তুলে বলেন, ২০১৯ সালে তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তুলসীহাটা নয়াটোলা-সরকার পাড়ায় খাস জমিতে জল নিকাশের জন্য হিউম পাইপগুলো বসানো হয়েছিল। চন্দন সাহা সেই হিউম পাইপগুলো তুলে ফেলে দিয়ে মাটি ভরাট করতে শুরু করেছে। স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে পঞ্চায়েতের অর্ডার কপি দেখাচ্ছেন চন্দন সাহা। অথচ স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে জেনে আসছেন সেটি সরকারি খাস জমি। খাস জমিতে থাকা ড্রেন বন্ধ করার অনুমতি কি করে পাই বলে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। এই ড্রেন দিয়ে প্রায় হাজারটি পরিবারের জল নিকাশের একমাত্র উপায়। সেটি বন্ধ হয়ে গেলে এলাকার মানুষ চরম সমস্যায় পড়বেন। স্থানীয় বাসিন্দা, সেখ তালিম জানান, এটি একটি সরকারি খাস জমি। চন্দন সাহা জমিটি পাঁচ বছর আগে কিনেছে। অথচ কয়েক দশক ধরে এই জমিটির এক ধারে জল নিকাশের ড্রেন রয়েছে। চন্দন এখন ওই ড্রেন টিকে নিজের রায়তী জমি বলে দাবি করছে। জল নিকাশ পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করে দিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। চন্দন সাহা জানান, দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে স্থানীয় এক বাসিন্দার কাছ থেকে সে রায়তী ৯ কাঠা জমি কিনে নিয়েছেন। সেটি কোনো সরকারি খাস জমি না। তার নামে দলিল ও পর্চা রয়েছে। ২০১৯ সালে তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে হিউম পাইপগুলো বসানো হয়েছিল। সেই সময় তিনি বাধা দিয়ে ছিলেন। বর্তমানে সেই জমিতে তিনি বাড়ি তুলবেন। তাই পঞ্চায়েতের অর্ডারে পাইপগুলো তুলে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছেন। তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শকুন্তলা সিংহ জানান, হিউম পাইপগুলো তোলার জন্য পঞ্চায়েত থেকে অর্ডার দেওয়া হয়েছে। সেটি চন্দন সাহার নিজস্ব রায়তী জমি। পঞ্চায়েত চাইলেও পুনরায় ওই জায়গাতে হিউম পাইপ আর বসাতে পারবেন না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct