সেখ রিয়াজুদ্দিন ও আজিম সেখ, মালদা, আপনজন: খাঁকি উর্দি পোশাক পরিহিত পুলিশের কাছে থেকে বহু যোজন দূরে থাকতে অভ্যস্ত সাধারণ মানুষ। সেই ভয়ভীতি দূরে সরিয়ে পুলিশের আন্তরিকতার বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতায় আজ মিলেমিশে একাকার। সম্প্রতি পেরিয়ে আসা অতিমহামারি করোনা কালে পুলিশের জীবন যুদ্ধের লড়াই। পরিবার পরিজন বিসর্জন দিয়ে করোনার লড়াইয়ে মানুষের পাশে দাড়াতে বিভিন্ন ভূমিকার কথা আজও স্মরণীয়। পুলিশের শুধু আইনী রক্ষা করা,করোনার যুদ্ধে লড়াই নয় এবার কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ও রুখে দাঁড়াতে দেখা গেলো মাড়গ্রাম থানার ওসিকে। বিবরণে জানা যায় গত রাত্রে রাস্তায় পেট্রোলিং ডিউটি করছিলেন মাড়গ্রাম থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম। সেই মুহূর্তে দেখেন একটি বাইকে তিনজন চেপে যাচ্ছিলেন। একজনের হাতে পর পর কয়েকটি বাঁধন রয়েছে। ওসির সন্দেহ হওয়ায় তাদেরকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন যে,হাতে পর পর বাঁধান দেওয়া ব্যাক্তিকে সাপে কামড়েছে, যার জন্য তারা স্থানীয় ওঝার কাছে নিয়ে যাচ্ছে। সেই কথা শোনা মাত্র ডিউটি অবস্থায় তাদেরকে পুলিশের গাড়িতেই চাপিয়ে সরাসরি রামপুরহাট হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। ওঝার কাছে না নিয়ে যাওয়া এবং কুসংস্কারের কথাগুলি তাদের বুঝিয়ে বলেন। বর্তমানে ওই ব্যক্তি রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং সুস্থ আছেন। ওসির বক্তব্য কুসংস্কারের বশীভূত হয়ে হয়তো একটা প্রান অঝোরে ঝড়ে যেত। তাই ঝুঁকি নিয়েই তাদের বুঝিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সরকারি বেসরকারি ভাবে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রচার অভিযান চললেও তথা বিজ্ঞানের যুগে মানুষ এখনো কুসংস্কারকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে ওঝার কাছে যাওয়া তার প্রমাণ। তবে কুসংস্কার দূরীকরণে এটি একটি বড় পদক্ষেপ বলে সচেতননাগরিকদেরঅভিমত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct