নিজস্ব প্রতিনিধি, নিউটাউন, আপনজন: আজকে নাগরিক দের স্বার্থে একবছর আগে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট বোট শুরু করেছিলাম। এবার এই চ্যাট বোট এর মাধ্যমে বিভিন্ন টেক্স এর পরিষেবা পাওয়া যাবে। আর কাউকে কলকাতা পৌর সংস্থা আসতে হবে না। তারা সব চ্যাট বোট এর মাধ্যমে মিউটেশন সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়া চ্যাট বোট এর মাধ্যমে নাগরিকরা নিজেদের সমস্যার ও অভিযোগ জানাবে। আর কিছু দিনের মধ্যে বিভিন্ন অফিসার থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া যাবে। ফলে এই চ্যাট বোট এর মাধ্যমে একটা গেট পাস থাকবে। সেখানে কোনো দালাল চক্র প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া আর একটা নতুন পরিষেবা চালু করা হবে। ফটো এবং বায়ো মেট্রিক স্ক্যান হবে সমস্ত যারা সাধারণ মানুষ কলকাতা পৌর সংস্থা আসবে। সমস্ত কলকাতা পৌর সংস্থার কর্মচারীদের এবার থেকে ওয়ার্ক ডাইরি মেইনটেইন করতে হবে। ফলে কে কথাই যাচ্ছে কি না। সেটা ওয়ার্ক ডাইরি মাধ্যমে খুঁটিয়ে দেখা হবে। এছাড়া সমস্ত বিভাগের কর্মচারী দের ফিল্ড ভিজিটের জন্য মোবাইল অ্যাপ করা হয়েছে। যারা বেআইনি বাড়ি নির্মাণ ভাঙবে তাদের ভিসিয়ালস তুলে নেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী ২০১১ সাল থেকে কর্নাসংস্কৃতি ফেরানোর জন্য কাজ করে আসছেন। তিনি বলেছেন কোনো বন্ধ নয় কোনো ধর্মঘট নয়। তাই শুধু আসি যায় মাইনে পাই আর কলকাতা পৌর সংস্থায় আর হবে না। কারণ মানুষ কে নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর কলকাতা পৌর সংস্থার কর্মচারীরা। মানুষের প্রতি যে দায়বদ্ধতা রয়েছে সেটা পূরণ করা হবে বলে জানান মেয়র। মানুষের কাছে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্যই এই সমস্ত পদক্ষেপ বলে জানান মেয়র। দালাল রাজ থেকে বেশি কর্মচারীদের নিরাপত্তা আমাদের বেশি প্রয়োজন। আমরা চাইছি যে নাগরিকরা বাড়িতে বসেই সমস্ত পরিষেবা পান। তার জন্যই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান মেয়র। সিটিজেন ফিডব্যাক এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষার এবং সমস্যার সমাধান করা হবে। ভিশন ২৪ কে সামনে রেখে সমস্ত পৌর সভার কাজকর্ম ডিজিটাল হবে বলে জানান মেয়র। টাউন ভেনডিং কমিটি নিয়ে মেয়র বলেন যে এটা ঠিক যে কমিটির মাধ্যমে হকার দের বসা আর না বসা সব কোর্টের নির্দেশ হয়। তিনি বলেন যে যে কাউন্সিলর এক্টিভ থাকবে সে সব কিছুই জানবে আর যে এক্টিভ হবে না সে জানতে পারবে না। আমরা শুধু কোন হকার যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। সেটা জানানো যাবে কাউন্সিলর দের। একটা জিনিষ মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার বলে দিয়েছেন যে নতুন হকার কেউ বসবে না। নতুন হকার বাসর জন্য টাউন ভেন্দিঙ কমিটির কাছেই আবেদন জানাতে হবে। কোনো রাজনীতিক ব্যাক্তি এর মধ্যে হস্তক্ষেপ করবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে তিনি বলেন যে আমি একটা নির্দেশ দিয়েছে আমাদের সচিব কে যে সম্পূর্ন ভাবে তদন্ত করে দেখতে। নিয়োগ সম্পূর্ন ভাবে কমিশনের মাধ্যমে হয়। কোনো সংস্থা ইন্টারভিউ নেবে কেন। একটা কমিটি করেই নিয়োগ করতে হবে। আমি হটাৎ কোর্ট থেকে নির্দেশ দেখেছি। এই সমস্ত সংস্থা বাম ফ্রন্টের অমল থেকে সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ হচ্ছে। কিন্তু একটা কমিটি করে আমলা দের নিয়েই নিয়োগ করা উচিত বলে আমি মনে করি। আমরা এই বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছি। কিন্তু সেই রিপোর্ট আসেনি। টিটাগড় নিয়ে তিনি বলেন যে তৃণমূল কর্মীরা সব জায়গায় খুন হচ্ছে কেন। কারণ তারা বাইরে থেকে লোক নিয়ে আসছেন। কালিয়াগঞ্জ যারা এই সব করছেন তারা খুব অন্যায় করছেন। যারা মনে করছেন অন্য ঘরে আগুন দেবেন সেই আগুন আপনার বাড়িতে আসতে পারে। তাহলে আপনাদের সঙ্গে মাওবাদী দের সঙ্গে কি তফাৎ রইলো। একটা বিশেষ রাজনীতি দল দুষ্কৃতী রাজ্য তৈরি করার চেষ্টা করছে। যারা দুষ্কৃতী করছেন সেটা মেনে নেওয়া যায়না। এটা বোর্ডের এর পাস থেকে দুষ্কৃতী দের নিয়ে আসা হচ্ছে। আজকে বাংলার জন্য করছেন কালকে দেশে যদি সেটা হবে তখন কি করবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct