নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: বড়-সড় সাফল্য মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের।২৮ দিনের মধ্যে খুনের রহস্যের কিনারা করল পুলিশ।গ্রেফতার খুনি দাদা। উল্লেখ্য,ফেব্রুয়ারি মাসের ১৭ তারিখ হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাড়োল গ্রামের এক ভুট্টার ক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির পচা গলা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।মৃত দেহের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে মুখ চেনা যাচ্ছিল না।স্থানীয়রা অনুমান ছিল হয়তো পার্শ্ববর্তী বিহার থেকে কেউ বা কারা খুন করে ফেলে গেছে।এই রহস্যের কিনারা করার দায়িত্ব হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেওদূত গজমের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এসআই অমর সাহার হাতে দেন।অমর সাহার নেতৃত্বে শুরু হয় সমগ্র ঘটনার তদন্ত।তারপর ২৮ দিনের মধ্যে রহস্যের কিনারা করল পুলিশ।মৃতদেহটি ছিল সুলতান নগর এলাকার ফুটকিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সফিকুল ইসলামের।পুলিশ সূত্রের খবর সফিকুল ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতো।ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখ বাড়িতে ফিরে।তার দাদা শেখ আসারুল ওরফে বাল্লা নিজের স্ত্রীর সঙ্গে ভাই সফিকুলের অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করত।সেই নিয়েই ভাই বাড়ি ফিরতে দাদার সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়।ঝামেলা থেকেই উত্তেজনার বসে দাদা শেখ আসারুল ভাই সফিকুলকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মেরে ভুট্টার ক্ষেতে দেহ ফেলে দেয়।১৭ তারিখ উদ্ধার হয় সেই মৃতদেহ। তারপর তদন্ত শুরু হতেই সামনে আসে প্রকৃত ঘটনা।১৩ ই মার্চ তারিখ পরিবারের কাছে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে শেখ আসারুল।১৪ই মার্চ তাকে গ্রেফতার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।বুধবার ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃত কে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct