সেক আনোয়ার হোসেন, তমলুক, আপনজন: রাজ্যজুড়ে আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে কংগ্রেস। এবার বিভিন্ন সভা সমাবেশ করে বেন্দ্রীয়র সরকারের সঙ্গে শিল্পপতি আদানি গোষ্ঠীর সখ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তাই আদানি সখ্যই ২০২৪সালে লোকসভা নির্বাচনে মোদির পতন অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছে। নন্দকুমার চৌমোড়ে জেলা যুব কংগ্রেসের ডাকে ‘ইউথ জোড়ো, বুথ জোড়ো’ সভায় এই বার্তা দিলেন কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ। তাঁরা বলেন, ২০২৪ সালে মোদি সরকারের পতন হবেই। আদানির সঙ্গে বন্ধুত্ব দেশের কী ভয়াবহ অবস্থা করেছে তা দেশবাসী বুঝতে পারছেন। যারা এলআইসি এবং রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কে টাকা বিনিয়োগ করেন তাঁরা বুঝতে পারছেন আদানির শেয়ার জালিয়াতি তাঁদের সঙ্কটে ফেলেছে। মোদি আমেরিকাকে ধরে বাঁচার চেষ্টা করেও রেহাই পাবেন না। এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নাদিম প্যাটেল, প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি প্রাক্তন সাংসদ সদস্য লক্ষ্মণচন্দ্র শেঠ, প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি আজহার মল্লিক, প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচি, কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মানস করমহাপাত্র, প্রাক্তন বিধায়ক ও প্রবীণ কংগ্রেস নেতা শৈলজা দাস, জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি শেখ মাতিন প্রমুখ। নাদিম প্যাটেল বলেন, দেশ জুড়ে ঘৃণা ও বিদ্বেষের বাতাবরণ তৈরি করছে বিজেপি। বেকারি এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই এসব করছে বিজেপি।
লক্ষ্মণবাবু বলেন, বিজেপির দিন ফুরিয়ে আসছে। দুর্নীতিগ্রস্ত মোদির বন্ধু আদানি। ওই সরকার জনগণের আন্দোলনে শেষ হয়ে যাবে। তৃণমূল রাজনীতিতে লুকোচুরি করছে। এভাবে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা যায় না। মানুষ তৃণমূল বিজেপি দু’জনকেই ধরে ফেলেছে। পুলিশ ও গুণ্ডা লাগিয়ে পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতে ভোট করতে এলে আমরা রুখবো। ট্যাক্সের টাকায় অনুদান ছড়িয়ে উন্নয়ন হয় না বলে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন। উন্নয়নকে হতে হবে উৎপাদনকারী উন্নয়ন। একসময় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ বলেন, আমি কমিউনিস্ট পার্টিতে ছিলাম। কমিউনিস্টরা কখনও দেশ গড়তে পারে না। কৌস্তভ বাগচি এদিন ভোটের সময় ভোট লুট হলে পকেটমার পেটানোর মতো ট্রিটমেন্ট দেওয়ার নিদান দেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct