নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক ও নেতা কর্মীরা।প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ব্যাপক দুর্নীতি এবং স্বজন-পোষণের অভিযোগ তুলে বিধায়কের সামনেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন আবাস যোজনা থেকে বঞ্চিত উপভোক্তারা।জানা যায়,রবিবার চাঁচল বিধানসভার অন্তর্গত কুশিদা অঞ্চলে দিদির দূত কর্মসূচিতে যায় চাঁচল বিধানসভার বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ।সঙ্গে ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১(বি) ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মানিক দাস,যুব তৃণমূলের সভাপতি শেখর সাহা,কুশিদা অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি মোহাম্মদ নুর আজম সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।এদিন গাররা এলাকায় বিধায়ক যেতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি এবং স্বজন-পোষণ হয়েছে।কাটমানির বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে ঘর। যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে তারা পেয়েছে ঘর।তালিকায় অনেকের নাম আসার পরেও বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুৎ কর্মাধক্ষ্য শোভা দাসের স্বামী তথা তৃণমূল নেতা সুধীর দাসের বিরুদ্ধে ঘর দেওয়ার নাম করে প্রচুর টাকা তোলার অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।বিক্ষোভের ফলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি এমনকি হাতা-হাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। বিক্ষোভকারী বাসিন্দা রতন রবি দাস বলেন ‘আমরা মুচি জুতা সেলাই করে সংসার চলে।কিন্তু আমরা ঘর পাইনি। ঘরের জন্য টাকা দিয়েছি তারপরেও তালিকায় নাম নেই।’ বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষ বলেন, কেন্দ্র সরকার টাকা দিচ্ছে না। তাই কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। রাজ্যের প্রকল্প মানুষ পাচ্ছে। আর মানুষের অভিযোগ শুনে কাজ করাই তো জন প্রতিনিধিদের কর্তব্য। কুশিদা অঞ্চল সভাপতি তথা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান মোহাম্মদ নুর আজম টাকা নেওয়ার অভিযোগটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct