আব্দুস সামাদ মন্ডল ও সেক আনোয়ার হোসেন, ফুরফুরা: হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়া থানার অন্তর্গত ফুরফুরা শরীফের অদূরে ধোনপোতাতে নলেজ সিটির জন্য ১০০ বিঘা জমির উপর নলেজ সিটি গড়ার জন্য ২০১৯ সালে শিলান্যাস করেছিলেন ফুরফুরা শরীফ আহলে সুন্নাত অল জামায়াতের কর্ণধার পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। সেই নলেজ সিটির একটি অংশে মাতৃসদন গড়ে তুলতে প্রকল্পের উদ্বোধন হল বৃহস্পতিবার।
আর সেই উত্বোধন উপলক্ষেৎ ফুরফুরার নলেজ সিটির ময়দান জনসমুদ্রের রূপ নেয়। ফুরফুরা শরীফ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হওয়ায় এদিনের অনুষ্ঠানে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো না হলেও হাজির ছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী। তবে, নওশাদ ছাড়াও অন্য বিশিষ্টজনদের মধ্যে হাজির ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক ডা. কুনাল সরকার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালেয়ের অধ্যাপক ড. আবদুল মতিন, আবু আফজাল জিন্না প্রমুখ।
এদিনের নলেজ সিটি প্রকল্পের উদ্বোধন অনষ্ঠানে আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, লকডাউনের জন্য কাজ নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন করতে না পারলেও আজ নলেজ সিটির একটি ভাগ মাতৃ সদনের উদ্বোধন করা হল।
মাতৃসদন প্রসঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, এখানে সর্ব ধরনের মানুষ পরিষেবা পাবেন।সম্পূর্ণ মহিলা দ্বারা পরিচালিত হবে। শুধু তাই নয় খুব কম খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ভবিষ্যতে আরও কয়েকটি এ ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে যার মধ্যে অন্যতম হল, এবিএস মডেল স্কুল, এবিএস সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। শুধু তাই নয় আইএএস, ডব্লিউবিসিএস নিট, আইন-এর প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে। প্রখ্যাত শল্য চিকিৎসক তথা কলকাতার মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হসপাতালের কর্ণধার ডা. কুনাল সরকার এদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বলেন, আব্বাস সিদ্দিকীর ডাকে নলেজ সিটিতে এসে যা দেখছি তাতে আমি মুগ্ধ। আব্বাস সিদ্দিকীর ও তার সংগঠন সম্পর্কে আমার আগে থেকেই ধারণা কিছুটা ছিল এখানে যে সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে গেল। এ ব্যাপারে তিনি গত মে মাসে হার্ট অপারেশনে ৩৫ বছর যুবকের প্রাণ বাঁচানোর ক্ষেত্রে এই সংগঠনের কর্মীদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, পারস্যে যে নলেজ সিটি ছিল সেখানে ইবনে সিনার কাছ থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ডাক্তারি শিখেছে। চিকিৎসা শাস্ত্রে ইবনে সিনার সেই অবদানের স্মৃতি দারুণভাবে উসকে দিচ্ছে ফুরফুরার এই নলেজ সিটি বলে মন্তব্য করেন। সেই সঙ্গে নলেজ সিটি প্রকল্প বাস্তবায়নে তিনি পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন। আইএসএফ-এর চেয়ারম্যান তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী বলেন, মাতৃসদন জনকল্যাণমুখী হয়েই জানুয়ারি থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য পরিষেবা প্রদান হবে। সেই সঙ্গেই জানান, ভাঙড়ে তিন বিঘা জমি পেলে সেখানে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ও স্বামী বিবেকানন্দের নামে বিদ্যালয় ও চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। তাই সাধারণ মানুষকে আব্বাস সিদ্দিকীর এই উদ্যোগে পাশে থাকার আহ্বান জানান। পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর আব্বাজান তথা পীর আলী আকবর সিদ্দিকীর দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct