বিশেষ প্রতিবেদক, বহরমপুর: রবিবার মুর্শিদাবাদের বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে উদযাপিত হল ৪০ বছর ধরে প্রকাশিত হতে থাকা লিটল ম্যাগাজিন বাসভূমি পত্রিকা ও ৪৫ বছরের পুরনো প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চন্দ্র কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট যৌথ আয়োজন ‘বাসভূমি উৎসব’। উক্ত সংস্থা দুটির কর্ণধার অরূপ চন্দ্র, কবি প্রাবন্ধিক ও ইতিহাস গবেষক। রবিবার ২০২২ সালে সর্বমোট ১১ জন পুরস্কৃত সংবর্ধিত ও সম্মানিত হলেন রবীন্দ্রসদন মঞ্চ থেকে।
২০১৮ সালে বাসভূমি সাহিত্য সম্মাননা’র জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের চট্টগ্রামের ইতিহাস গবেষক ও ‘চট্টগ্রাম ইতিহাস গবেষণা কেন্দ্র’ সভাপতি সোহেল ফকরুদ্দিন। এছাড়া অন্য যে দশজনকে পুরস্কৃত করা হয় তারা হলেন, আনসারউদ্দিন, নীহারুল ইসলাম, দিলীপ কুমার মিস্ত্রী, কুণাল কান্তি দে, বরুণ দাস, তপন ভট্টাচার্য, সুশান্ত বিশ্বাস, খাজিম আহমেদ, আশীষ কুমার মন্ডল ও সাবিত্রী প্রসাদ গুপ্ত। বাসভূমি পত্রিকা সম্পাদক অরূপ চন্দ্র প্রারম্ভিক ভাষণের পর মঞ্চে আহ্বান জানানো হয় মুর্শিদাবাদ জেলার বিশিষ্ট সংগীত ইতিহাস গবেষক রামপ্রসাদ ভাস্করকে। লোকশিল্প গবেষক মুজাফফর হোসেন ছিলেন বিশেষ অতিথি। এরপর দুই স্কুল ছাত্রী কোয়েলিয়া ও সৌরিমা উদ্বোধনী সংগীত গেয়ে শোনান।
বাসভূমি উৎসব স্মরণিকা সর্বসম্মুখে নিয়ে আসেন ড. জয়দেব বিশ্বাস, প্রাবন্ধিক চন্দ্রপ্রকাশ সরকার ও কবি মবিনুল হক। একই সঙ্গে প্রকাশিত হয় নবদ্বীপের কবি তপন ভট্টাচার্যের কাব্যগ্রন্থ।এরপর স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন পাঁচ জন বিশিষ্ট কবি-- অরু চট্টোপাধ্যায়, আবদুস সালাম, হৈমন্তী বন্দোপাধ্যায়, রাজন গঙ্গোপাধ্যায়, হাসি খাতুন ও কৌশিক গুড়িয়া; কবিতাগুলি দর্শক দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রবলভাবে। বিশিষ্ট ইতিহাস গবেষক খাজিম আহমেদ তার দীর্ঘ বক্তৃতায় বারবার তুলে ধরেন কলকাতা কেন্দ্রিকতার বাইরেও বৃহৎবঙ্গের তথাকথিত মফস্বল অঞ্চল গুলির এই উদ্যোগ অত্যন্ত মূল্যবান যা বাংলার প্রগতিশীল সমাজকে লেখক শিল্পী সংস্কৃতি কর্মীদেরকে নিরন্তর উৎসাহ জুগিয়ে যাবে। এদিন সংবর্ধিত ইতিহাসবিদ খাজিম আহমেদকে বাসভূমি সম্মাননা স্মারক তাঁর হাতে তুলে দেন প্রাবন্ধিক অপরেশ চট্টোপাধ্যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct