নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, আপনজন: মঙ্গলবার উচ্চ প্রাথমিকে অতিরিক্ত কর্মশিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় দুদিনের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কর্মশিক্ষা শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু। অতিরিক্ত ৭৫০ শূন্যপদে নিয়োগে আপাতত নয় বলে জানিয়েছে আদালত। এদিন পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়,-' মঙ্গলবার অফিস বন্ধ থাকায় নিয়োগপত্র দেওয়া সম্ভব নয়'। আদালতের প্রশ্ন, কীভাবে ওয়েটিং লিস্ট তৈরি করা হয়েছে? 'কমিশন নিজেও জানে যে তারা স্বচ্ছ নয়', এই মন্তব্য বিচারপতির। আদালত সুত্রে প্রকাশ, গত ২০১৬-য় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ২০১৭ সালে সালের জুন মাসে শুধু মাত্র কর্মশিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০১৮ সালে হয় পার্সোনালিটি টেস্ট। ১৪ অক্টোবর অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ৩ নভেম্বর কাউন্সেলিংয়ের তারিখ জানায় স্কুল সার্ভিস কমিশন। ১০ ও ১১ নভেম্বর ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের তারিখ ঘোষণা হয়।আপাতত দু'দিনের জন্য এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু। এখন কোনও চাকরিপ্রার্থীকে সুপারিশপত্র দিতে পারবে না এসএসসি বলে জানিয়েছে আদালত ।মামলাকারী সোমা রায়ের অভিযোগ,-' গত ৩ নভেম্বর কর্মশিক্ষা বিষয়ে যে 'ওয়েটিং লিস্ট' প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে তাঁর নাম নেই। তিনি তফসিলি জাতিভুক্ত চাকরিপ্রার্থী। পরীক্ষা এবং পার্সোনালিটি টেস্ট মিলিয়ে মোট ৭২ নম্বর পেয়েছেিলেন। কিন্তু 'অ্যাকাডেমিক স্কোরে' ২২-এর পরিবর্তে তাঁকে ১৮ নম্বর দেওয়া হয়'। তিনি আরও জানান,লিখিত পরীক্ষায় ৫৪ এবং অ্যাকাডেমিক স্কোর হিসাবে ২২ পাওয়ার পর তাঁর প্রাপ্ত নম্বর হয় ৭৬। কিন্তু, তাঁকে দেওয়া হয়েছে ৭২ নম্বর। পার্সোনালিটি টেস্টের নম্বরও যোগ করা হয়নি!'
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct