নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, আপনজন: এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে উঠে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী ও শ্যালিকার বিরুদ্ধে শুল্ক দপ্তরের মামলা। এদিন শুনানি পর্বে সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা এবং শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের বিরুদ্ধে তদন্ত গত দু'বছরে কতদূর এগোল? তা জানতে চাইল ডিভিশন বেঞ্চ । কেন্দ্রীয় সরকারের শুল্ক দফতরের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ,- 'দু'বছর ধরে তদন্ত করছেন!এখনও শেষ হল না!' এদিন মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে কেন্দ্রীয় সরকারের এক আইনজীবী আদালত কে জানান, -' দিল্লি থেকে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আসতে পারেননি। অন্য মামলায় আটকে গিয়েছেন। তাই এই কয়েক দিন পিছিয়ে দেওয়া হোক' । জানা গেছে আগামী ডিসেম্বরে শুনানি রয়েছে। আদালত সুত্রে প্রকাশ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা এবং শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের বিরুদ্ধে দু'বছর আগে করা মামলায় ফের আইনি তত্পরতা দেখা শুরু করে শুল্ক দফতর। কেন্দ্রীয় ওই সংস্থা তাঁদের বিরুদ্ধে সোনা পাচারের অভিযোগ তোলে। সূত্রে প্রকাশ , সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শুল্ক দফতর। সেই মতো কলকাতা হাইকোর্টের হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে গত বৃহস্পতিবার মামলাটি তালিকাভুক্ত ছিল। যদিও বৃহস্পতিবার শুনানি হয়নি। এদিন মামলাটি ফের শুনানির জন্য ওঠে।গত ২০১৯ সালের ১৬ মার্চ গভীর রাতে ব্যাঙ্কক থেকে রুজিরা এবং মেনকা কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন। শুল্ক দফতরের অভিযোগ,-' দু কেজি সোনা-সহ তাঁদের ধরা হয়। এরপরে ভিআইপি পরিচয় দিয়ে গ্রিন করিডোর করে ওই দু'জনকে সেখান থেকে বার করে নিয়ে আসে বিধাননগর পুলিশ। যদিও তাঁরা এই সব অভিযোগ অস্বীকার করে থাকে । এর প্রায় ৬ দিন পর সেই বছর ২২ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে শুল্ক দফতর। পরে রুজিরা এবং মেনকাকে তলব করে তারা। ওই বছর ৮ এপ্রিল দুপুরে তাঁদের কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডের অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল।শুল্ক দফতরের ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেকের স্ত্রী এবং শ্যালিকা। তখন প্রথমে সিঙ্গেল বেঞ্চে তাঁরা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় শুল্ক দফতর। ২০২০ সালে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সাময়িক শুল্ক দফতরে হাজিরা দিতে হবে না বলে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয়। এরপর শুল্ক দপ্তরের সক্রিয়তা দেখা যায়। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি পর্বে এই মামলার তদন্ত কেন দুবছর ধরে লাগছে তার ব্যাখা চাইলো আদালত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct