আজিজুর রহমান, গলসি, আপনজন: মঙ্গলবার দুপুর একটা নাগাদ গলসির পুরসা হাসপাতালের ছোট একটি পরিত্যক্ত গোডাউন আচমকা আগুন লাগে। আগুনের জেরে ভীষ্মভুত হয়ে যায় গোড়াউনে মজুত পরিত্যক্ত জিনিসপত্র। যেখানে মজুত ছিল বেসকিছু পরিত্যক্ত বেড়, খালি কাটুন, বেডটুল ও কিছু স্যালাইনের বোতল। আগুনের জেরে যা কিছুক্ষণের মধ্যেই সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গলসি থানার পুলিশ। তারা দমকলে খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসে দমকলের দুটি ইঞ্জিন। এদিকে আগুন লাগার সাথে সাথে ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষরা। তারা এসে সাটার ও জানলা খুলে আগুন নেভাতে আপ্রান চেষ্টা করেন। দমকলের চল্লিশ পঞ্চাশ মিনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনায় সেখ হাফিজুর নামে এক হাসপাতালের কর্মীর হাতে ছেঁকা লেগেছে। তবে তা মারাত্ববক কিছু নয়। স্থানীয় বাসিন্দা সেখ কমল, বলেন খবর পেয়ে তিনি তাদের গ্রামের মানুষকে নিয়ে ছুটে আসেন। তারাই বাঁশ ও লোহার পাইপ দিয়ে সাটার খোলার চেষ্টা চালান। জল ও ছোট ফায়ার সিলেন্ডার দিয়ে নিজেদের সাধ্যমত আগুন লাগানোর চেষ্টা চালান। তিনি বলেন, খবর পেয়ে বুদবুদ থেকেও তার বন্ধু তন্ময় ভান্ডারী ছুটে এসেছেন। কারন এই হাসপাতাল তাদের প্রান। এখানে বহু মানুষ নিত্যদিন পরিসেবা পায়। হাসপাতালে ফার্মাসিস্ট, উজ্জ্বল কান্তি চৌধুরী জানিয়েছেন, পরিত্যক্ত ঘর ছিল ওটি। যেখানে পুরাতন বেড সহ বিভিন্ন জিনিস ছিল। সেগুলিই পুড়েছে। তবে ঠিক কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি। তিনি বলেন, দমকল আসার আগে স্থানীয়রা খুবই সহযোগিতা করেছেন। গলসি ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার গৌরাঙ্গ কর্মকার জানিয়েছেন, তাদের দুটি গাড়ি এসে পঞ্চাশ মিনিট প্রচেষ্টা চালিয়ে আগুন আয়ত্তে আনে। আগুন লাগার কারন তিনি বলতে পারবেন না। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা সেটা বলতে পারবেন। তবে তার প্রাথমিক অনুমান বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট থেকে ওই আগুন লেগেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct