আপনজন ডেস্ক: ফুড পয়জনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া একটি পরিচিত সমস্যা। প্রায়ই বাইরের বা হোটেল রেস্তোরাঁর খাবার অপরিষ্কার ও জীবাণুযুক্ত হয়ে থাকে। যখন কেউ দূষিত, নষ্ট বা বিষাক্ত খাবার খায়, যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং পরজীবী দ্বারা সংক্রামিত, তখন ফুড পয়জনিং হয়ে থাকে। এর লক্ষণ হল ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা, ক্ষুধামান্দ্য, পেটব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি, ক্লান্তি, জ্বর বোধ করা, মাথাব্যথা—এগুলো ফুড পয়জনিংয়ের লক্ষণ। সাধারণত দূষিত খাবার গ্রহণের ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পায়। ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, যদি ১০১ দশমিক ৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের চেয়ে বেশি জ্বর, তিন দিনের বেশি ডায়রিয়া, তীব্র পানিশূন্যতা, দৃষ্টি ঝাপসা, চেতনা কমে যাওয়ার মতো লক্ষণ থাকে। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় ক্ষেত্রে কী দায়ী, তা নির্ধারণ করতে মল এবং রক্ত পরীক্ষা করা যায়। এ ছাড়া পাতলা পায়খানার জটিলতা দেখতে কিডনি, রক্তের লবণ ইত্যাদি পরীক্ষা করতে হয়। খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে বাড়িতেই চিকিৎসা করা যেতে পারে। সাধারণত তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে এটি ভালো হয়ে যায়। নিজেকে সারাক্ষণ হাইড্রেটেড রাখুন। শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে ইলেকট্রোলাইটযুক্ত জল পান করুন। জলশূন্যতা তীব্র হলে শিরার মাধ্যমে স্যালাইন দিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়রিয়া–প্রতিরোধী ওষুধ গ্রহণ করা যেতে পারে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার সময় আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অনেক সক্রিয় হয়ে ওঠে। সে জন্য বিশ্রাম খুব উপকারী। ফুড পয়জনিংয়ের সময় নিয়মমতো খাওয়া ও বিশ্রাম দ্রুত সেরে ওঠার জন্য খুব কার্যকরি। ফুড পয়জনিং বা খাদ্য বিষক্রিয়ার সময় খাদ্যতালিকায় রাখুন কলা, ভাত, মুরগির পাতলা ঝোল, সেদ্ধ শাকসবজি, টোস্ট, ফলের রস বা ডাবের জল। এড়িয়ে চলুন চর্বিযুক্ত খাবার, দুগ্ধজাত খাবার, মসলাদার এবং ভাজা খাবার, উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার আর ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct