পরিচ্ছন্ন পরিবেশ সুস্বাস্থ্যের অঙ্গীকার
তুহিন সাজ্জাদ সেখ
অত্যন্ত অবহেলায় দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো ফেলে দেওয়া চায়ের কাপ, ডাবের খোলা, প্লাস্টিকের বালতি, জিনিসপত্র, খেলনাপাতি, পুরানো কৌটা, বাড়ির চারপাশে যেখানে সেখানে ফেলে রাখা গাড়ির পুরানো টায়ার, পাতনা, টিনের পাত্র প্রভৃতি বর্জ্য পাত্রে জমা জলে মারাত্মকভাবে জন্মাচ্ছে মশার দল। আর তার ফলেই যত অনাসৃষ্টি- মানুষ নানা ধরনের জ্ঞাত অজ্ঞাত সব জ্বর,অ্যালার্জী, মাথাব্যথা,গাঁটে গাঁটে ব্যাথা আরও কত কি সব মারাত্মক অসুখ বিসুখে ভুগছে। এমনকি এর ফলে মানুষের মৃত্যুও হচ্ছে। শুধু কি তাই বাড়ির চারপাশে জমিয়ে রাখা আবর্জনার স্তূপে , উন্মুক্ত কলের পাড়ের নোংরা জলে, খানাখন্দে, অপরিচ্ছন্ন ঝোপে ঝাড়ে,পরিত্যক্ত বাড়িতে, পচা গলা গাছের ফোকরে সবজায়গাতেই এরা বাসা বেঁধে আমাদের শরীরে নানা রোগের বীজ বুনে দিচ্ছে। এ সব কথা মাথায় রেখেই মশা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে এবং মশা দ্বারা বাহিত রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় বাতলে দিয়ে, মশা প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে সারা বিশ্ব জুড়ে ২০শে আগস্ট পালিত হয় বিশ্ব মশা দিবস। লিকলিকে শরীরে একজোড়া করে ডানা ও গলরজ্জু বিশিষ্ট দীর্ঘায়িত মুখ সমন্বিত মশার দল হল পৃথিবীর মধ্যে ভয়ানকতম। এরা ‘অ্যানিমালিয়া’ রাজ্যের, ‘আর্থ্রোপোডা’ পর্বের, ‘ইনসেক্টা’ শ্রেণীর, ‘ডিপটেরা’ ক্রমের, ‘কুলসিডা’ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। সারা পৃথিবীতে এদের সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি প্রজাতি লক্ষ্য করা যায়; ভারতবর্ষেই প্রায় চারশোরও বেশি প্রজাতির দেখা মেলে। সর্বত্রই এদের দেখা মেলে, কেবল মেরুদেশীয় কিছু দ্বীপপুঞ্জ বাদে। যেমন- আইসল্যান্ড এমন একটি দ্বীপ যেখানে কোন মশার দেখা মেলে না। মশা সচরাচর উষ্ণ এবং আদ্র ক্রান্তীয় আবহাওয়া যুক্ত অঞ্চলে বেশি বসবাস করে।
সচরাচর মশা ফুলের মধু, বৃক্ষ নিঃসৃত সুধা কিংবা গুল্ম রস পান করেই জীবন ধারণ করে। তবে আমাদের ধারণা যেন ওরা সবসময়ই আমাদের রক্ত খেয়েই বাঁচে। – এটি পুরোপুরি সত্য নয়। কেবলমাত্র স্ত্রী মশার নলাকৃতি দীর্ঘ মুখে ‘প্রোবোসিস’ নামে একটি দাঁড়া থাকে যা দিয়ে মানুষের শরীরে কামড়ায় এবং রক্ত শোষণ করে। এই রক্ত থেকে স্ত্রী মশা প্রোটিন ও লৌহ খনিজ গ্রহণ করে ডিম পাড়ার জন্য নিজেকে উপযুক্ত করে তোলে।ডিম পাড়ার জন্য জলের প্রয়োজন, তাই মশা সচরাচর জলপৃষ্ঠে ডিম প্রদান করে। এই ডিম ক্রমে স্বতশ্চল লার্ভায় পরিণত হয়; লার্ভা ফুটে পিউপা আর তার পরেই পরিণত হয় পূর্ণাঙ্গ মশা। ডিম থেকে লার্ভা এবং লার্ভা থেকে পিউপায় পরিণত হতে পাঁচ থেকে চোদ্দ দিন করে সময় লাগে। মশার ডানা দুটি প্রতি সেকেন্ডে তিনশো থেকে ছশো বার নাড়াতে পারে। তবে এরা খুব ধীর গতিতে চলাফেরা করে,সারাদিনে মাত্র দু-তিন মাইল যাতায়াত করতে পারে। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই যে, মশারা প্রায় পঁচাত্তর ফুট দূর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাসের উপস্থিতি বুঝতে পারে। মশারা দিনের আলোয় খুব কম বিচরণ করে, অর্থাৎ সন্ধ্যা কালীন সময়ে ও রাত্রিতে বেশি কামড়ায়। মশা শুধুমাত্র মানুষের শরীরে নয়, এমনকি অন্যান্য মেরুদন্ডী প্রাণী,স্তন্যপায়ী জীব, সরীসৃপ, পাখপাখালি এবং অনেক উভচর প্রাণী দেরও কাটে। স্ত্রী মশার মুখে যে প্রোবোসিস নামক দাঁড়া আছে তাই দিয়েই কামড়ে দেয় এবং লালারস মারফত শরীরের মধ্যে পরজীবী ঢুকিয়ে দেয়। এভাবেই যাকে কামড়ায় সে আক্রান্ত হয়। কামড়ানোর সাথে সাথেই উক্ত স্থানে চুলকানির ফুসকুড়ি রের হয়। ওটা ক্রমশ মারাত্মক রকমের অ্যালার্জীতেও পরিণত হতে পারে। এভাবেই মশারা অন্যের শরীরে রোগজীবাণুর বীজ বপন করে।
সচরাচর তিন রকমের মশা দেখা যায় যা অত্যন্ত ভয়ানক। যথা:- ১. এডিস মশা,যার বিজ্ঞান সম্মত নাম হল “এডিস অ্যালবোপিকটাস” এবং “এডিস ইজিপ্টি”। এই মশার কামড়ের ফলে ডেঙ্গু,চিকুনগুনিয়া এবং পীত জ্বরের মতো মারাত্মক সব রোগ হয়। ২. কিউলেক্স, যার বিজ্ঞান সম্মত নাম হল “কিউলেক্স পিপিয়েন্স”। এই মশায় কামড়ালে ওয়েস্ট নীল ভাইরাস, ফাইলেরিয়া এবং এনসেফালাইটিস এর মতো ভয়ানক সব অসুখে আক্রান্ত হয়। ৩. অ্যানোফিলিস, যার বিজ্ঞান সম্মত নাম হল “অ্যানোফিলিস স্টিফোনসি”। অ্যানোফিলিস মশায় কামড়ালে মানুষের ম্যালেরিয়া হয়।— এই ম্যালেরিয়া অত্যন্ত মারাত্মক একটি রোগ।প্লাসমোডিয়াম নামক পরজীবী দ্বারা এই রোগের সৃষ্টি হয়।স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশার কামড়ে এই পরজীবী মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। সারা পৃথিবীতে ম্যালেরিয়া অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় পাঁচ ছয় মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বিশ্বের প্রায় একশো টির ও বেশি দেশে এই রোগের ব্যাপক প্রকোপ দেখা যায়। পৃথিবীতে সমগ্র ক্রান্তীয় আবহাওয়া যুক্ত অঞ্চলে এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। বিশ্বের সত্তর শতাংশ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগী মাত্র এগারোটা দেশে সীমাবদ্ধ, তাদের মধ্যে ভারতবর্ষ অন্যতম। বাকি দেশগুলো আফ্রিকা মহাদেশের। এই জীবনদায়ী ম্যালেরিয়া নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ‘দি লিভারপুল স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন’ এর ড. রোনান্ড রস ১৮৯৭ খ্রীষ্টাব্দে প্রথম ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ এবং মশার মধ্যে সংযোগের সত্য উদঘাটন করেছিলেন। সেদিনের সেই অসম্ভব ভালো কাজটির প্রতি সম্মান জানাতে এবং মশা ও ম্যালেরিয়ার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতেই ২০শে আগস্ট,এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে “বিশ্ব মশা দিবস” হিসেবে। তিনি একটি ম্যালেরিয়া আক্রান্ত পাখি কে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছিলেন যে ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী প্লাসমোডিয়াম নামক পরজীবী টি মশার শরীরে পাকস্থলীর লালারসে উপস্থিত থাকে। মশা যখন কামড়ায় তখন তা ওই লালা মারফত আমাদের শরীরে প্রবেশ করে এবং আমরা আক্রান্ত হই।ম্যালেরিয়া সংক্রমণের এই বিশদ বিষয়টি আবিষ্কারের ফলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সাধন হয় এবং এই মহৎ কাজের জন্য ড. রস কে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়।
মশা এবং ম্যালেরিয়া সম্পর্কে নানা তথ্য জ্ঞাপন করতে এবং জনসচেতনতা তৈরি করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রর্দশনীর মধ্য দিয়ে ১৯৩০ খ্রীস্টাব্দ থেকে ‘দি লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন’-এই দিনটি প্রতি বছর পালন করে আসছে। আমেরিকার একটি বেসরকারি সংস্থা ‘ম্যালেরিয়া নো মোর’ প্রচুর অনুদানের মধ্যে দিয়ে ম্যালেরিয়া দূরীকরণের গবেষণা করতে ব্যাপক সাহায্য করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এই সংস্থা টি প্রচুর অর্থ চাঁদা তুলে ম্যালেরিয়ার কবল থেকে বাঁচার জন্য মশারী, ওষুধ প্রভৃতি জিনিস পত্র কেনিয়া, নামিবিয়া, ব্যোৎসোয়ানা, ঘানা এবং নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলোতে পাঠায়। এই সংস্থারই ‘মোজি এয়ার’ নামক একটি অভিযানের মাধ্যমে সেই সমস্ত যাত্রীদের ম্যালেরিয়া প্রতিরোধকারী ওষুধ নিতে উৎসাহিত করা হয় যারা ম্যালেরিয়া প্রবণ অঞ্চলে ভ্রমণে যায়। এভাবেই ২০১০ খ্রীস্টাব্দে বিখ্যাত গায়ক সেরিল কোলে আফ্রিকায় ছুটি কাটাতে গিয়ে মারাত্মকভাবে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। সারা বিশ্ব জুড়ে জনসচেতনতার উদ্দেশ্যই হল মশার প্রকোপ থেকে বাঁচা এবং ম্যালেরিয়া কে প্রতিরোধ করা। মশা তাড়ানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হল পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, কোন জায়গায় জল জমতে না দেওয়া, যেখানে সেখানে ঝোঁপ ঝাড় অকারণে বাড়তে না দেওয়া, শোবার সময় অবশ্যই মশারী টাঙিয়ে ঘুমানো ইত্যাদি। সম্প্রতি টুইটারে ‘নাথিং বাট নেটস’ নামে একটি অভিযান গরীব মানুষ দের মধ্যে মশারী বিতরণের জন্য উৎসাহিত করছে। এছাড়াও আরও অনেক পদ্ধতিতে মশার কামড় থেকে বাঁচা যায়। জলাশয়ে গাপ্পি প্রজাতির মাছের চাষ করে জৈবিক উপায়ে মশার বংশবিস্তার হার কমানো সম্ভব। বিভিন্ন স্যাঁতসেতে ঝোঁপ ঝাড় যুক্ত পরিবেশে ল্যাভিসাইড,অ্যাডাল্টিসাইড ধরনের রাসায়নিক প্রয়োগ করলে মশা কমে যায়। এছাড়াও পরিবেশে ডাই ইথাইল মিটা টলিউমাইড জাতীয় মশা বিতাড়ক প্রয়োগ করেও আমরা মশার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি। বিশ্ব মশা দিবসের উদ্দেশ্যই মশা এবং মশাবাহিত রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া। বিশ্বের মধ্যে ম্যালেরিয়া নিয়ে অন্যতম ঝুঁকি পূর্ণ দেশ ভারতবর্ষ। এখানে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ যথেষ্ট বেশি। উষ্ণ আদ্র ক্রান্তীয় জলবায়ুর দেশ ভারতবর্ষে চার মাসের দীর্ঘস্থায়ী বর্ষাকাল এর জন্য এই দেশ মশাদের উপযুক্ত বাসস্থান। তাই মশা বাহিত ম্যালেরিয়ার প্রকোপও অত্যন্ত বেশি। আমাদের দেশে ‘দি ন্যাশনাল ভেক্টর বর্ণ ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম’ এর তথ্য অনুসারে মোট ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সত্তর শতাংশ মাত্র পাঁচ টি রাজ্যে বসবাসকারী যথা:- ওড়িশা (৩৬%), ছত্তিশগড় (১২%), ঝাড়খন্ড (৯%), মধ্যপ্রদেশ (৯%), মহারাষ্ট্র (৫%) । তবে ‘ন্যাশনাল ফ্রেমওয়ার্ক ফর ম্যালেরিয়া এলিমিনেশন (২০১৬-২০৩০) এবং ‘ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক প্লান (২০১৭-২০২২) এর লক্ষ্য অনুযায়ী ভারতবর্ষ এই বছরের মধ্যেই অধিকাংশ স্তরে ম্যালেরিয়া দূরীকরণে সফল হবে।
সারা পৃথিবী জুড়ে বহু প্রচেষ্টা চলছে ম্যালেরিয়া দূর করতে, তবে গবেষণায় জানা গেছে ম্যালেরিয়ার জন্য দায়ী প্লাসমোডিয়াম নামক পরজীবী টি ‘অর্টেমিসিনিন’ , ‘ক্লোরোকুইনিন’ এর মতো অনেক অ্যান্টিবায়োটিক এর বিরুদ্ধে জিনগত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তাই ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই এখনও জারি।এর মধ্যে খুশির খবর এই যে, অত্যন্ত নিখুত পর্যবেক্ষণ এবং মারাত্মক রকমের প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সরকারিভাবে ১৯৭৪ খ্রীস্টাব্দে গ্রীস দেশ ম্যালেরিয়া মুক্ত ঘোষিত হয়। তবে এখনও মশার বিরুদ্ধে লড়াই জারি শুধু ম্যালেরিয়া নয় আরও নানা সব মারাত্মক অসুখ যেমন ডেঙ্গু, জিকা ভাইরাস, টুলারেমিয়ার মতো মারাত্মক সব ব্যাধির হাত থেকে রক্ষা পেতে। সম্প্রতি গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে হু হু করে বেড়ে চলেছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী গত দুই দশকে এই রোগীর সংখ্যা প্রায় আট গুণ বেড়ে গেছে। আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেই আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই কুড়ি হাজার অতিক্রান্ত,যা অত্যন্ত দুশ্চিন্তাজনক। সরকার ও নিয়োজিত স্বাস্থ্য দপ্তর যথেষ্ট তৎপর হয়ে উঠেছে এর মোকাবিলা করার জন্য। ডেঙ্গু এডিস ইজিপ্টি মশার কামড়ে হয়ে থাকে। ধূসর বর্ণের পায়ে সাদা কালো দাগযুক্ত এই ধরনের মশারা সূর্যোদয়ের দুই ঘন্টা পর থেকে সূর্যাস্তের দুই ঘন্টা আগে পর্যন্ত অত্যন্ত সক্রিয় থাকে এবং তখনই কামড়ায়। এরা আকারে ছোট প্রায় ৪-৭ মিলিমিটার হয়ে থাকে। তাই আমাদের অত্যন্ত সচেতন হওয়া খুবই জরুরি।তবে একথা একেবারেই ভুলে গেলে চলবে না যে, মশা আমাদের পরিবেশের বাস্তুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মশা না থাকলে পরাগমিলন সম্ভব নয়, মশা আমাদের খাদ্যশৃঙ্খলে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। মশা বিভিন্ন পশুপাখি,ব্যাঙ,মাছ প্রভৃতির খাদ্য। তাই মশা নিধন নয়, চেষ্টা করতে হবে যাতে মশার বংশবিস্তার হার কমানো যায়। আমাদের মশার হাত থেকে বাঁচার উপায় বার করতে হবে; মশা ও মশা বাহিত সকল রোগ ও তার উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। পরিবেশ পরিষ্কার রাখা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে,এটা আমাদের অবশ্যই পালন করা উচিত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct