মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: টুনি লাইটের যুগে কদর হারাচ্ছে মাটির প্রদীপ। আর কয়েকদিন পরে গোটা দেশ সহ দীপাবলির আলোর রোশনাইয়ে ঝলমলে হয়ে উঠবে দেশ থেকে রাজ্য। সোমবার আয়োজিত হবে কালীপুজোয় আলোর রোশানাই। কিন্তু যাদের মাটির প্রদীপে ঝলমল করে বা করেছে উৎসবের আঙিনা, সেই মৃৎশিল্পীদের ঘরেই এখন অন্ধকার।আর তার জন্য সৌজন্যতা বৈদ্যুতিক মোমবাতি, টুনি লাইট। কালিপুজো এলেই ঘর আলো করতে মাটির প্রদীপের চাহিদা বেশ থাকত। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে গৃহস্থরা ঝুঁকেছেন তুলনায় সস্তা এবং বাহারি বৈদ্যুতিক আলোর দিকে।এই পরিস্থিতিতে কালিপুজোর মুখে চিন্তায় নদীয়া জেলার বিভিন্ন ব্লকে মৃৎশিল্পীরা।মাটির প্রদীপের কদর কমতে থাকায় কাজ ছেড়ে অনেকেই অন্য পেশার যুক্ত হয়েছে।আলোর উৎসব তথা দীপাবলীতে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে মাটির প্রদীপ। এই পরিস্থিতিতে কালীপুজোর মুখে চিন্তায় এখানকার মৃৎশিল্পীরা। মাটির প্রদীপের কদর কমতে থাকায় এই কাজ ছেড়ে অনেকেই অন্য পেশার দিকে ঝুঁকছেন ।আলোর উৎসব তথা দীপাবলীতে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে মাটির প্রদীপ। গত কয়েক বছরে লকডাউনে মৃৎশিল্পীরা অনেকে এই কাজ ছেড়ে দিয়ে সব্জি বিক্রয় করছে। এবার রাজমিস্ত্রির কাজ করছে। গত কয়েক বছরে প্রদীপের চাহিদা কমলেও হাল ছাড়েননি অনেক মৃৎশিল্পীরা। মৃৎশিল্পীরা পুজোর নানা উপকরণের সঙ্গে মাটির প্রদীপ তৈরি করে আসছেন বংশ পরম্পরা থেকে।কিন্তু বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক বৈদ্যুতিক বাতি বাজারে চলে আসায় প্রাচীন সেই মাটির প্রদীপ হারিয়ে যেতে বসেছে। কিন্তু বাজারে সেই প্রদীপের কম চাহিদা থাকায় প্রায় বন্ধের মুখে এই শিল্প। চাপড়া ব্লকের নবীন নগর গ্রাম সহ বিভিন্ন গ্রামে মৃৎশিল্পীরা পরিবার আগে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিল এখন সেটা কমে দাঁড়িয়েছে।
মৃৎশিল্পীরা দীপাবলিকে সামনে রেখে ব্যস্ত নানা ধরনের প্রদীপ তৈরি করতে। সুকুমার পাল জানান গত কয়েক বছর অনকে এই কাজ ছেড়ে অন্য কাজে যুক্ত হয়ে মাটির তৈরি জিনিসপত্র চাহিদা কমে গেছে পরিবারে চালানোর জন্য অনন্য পেশায় নিয়োজিত হয়েছে। তবুও আক্ষেপের সুর মৃৎশিল্পীদের তারোক পাল বলেন আজকালকার ডিজিটাল যুগে যে হারে চায়না লাইট, টুনি বাল্ব ও নানা ধরনে এলইডি লাইট এসেছে সেই তুলনায় হাতে গড়া মাটির প্রদীপের বিক্রয় কমেছে। লাভ কম হলেও মৃৎশিল্পীদের আশা এই বছর তাঁরা লাভের মুখ দেখবেন।তাঁরা আরও বলেন, বর্তমানে মাটি ও খড়ির দামও বেড়েছে। কিন্তু প্রদীপের দাম বাড়ছে না। যা কোনও রকম খাওয়া খরচটা ওঠে। এক মৃৎশিল্পী জানান, বাজারের চীনা বাতির রমরমা ব্যাবসা, ফলে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মৃৎশিল্পীদের।কালীপুজোর সময় বাড়তি উপার্যনের দীপাবলির প্রদীপ এতদিন ছিল ভরসা। কিন্তু প্রদীপ তৈরি করেও উপর্যনের আশা ক্রমশ আঁধারে পরিণত হচ্ছে। কারণ হিসেবে বাজারে চীনা লাইট রমরমা ব্যবসা করছে। বাজারে এসেছে চীনা মিনিচার, মানুষ তাই কিনেই আলোর উৎসবে মাতছেন। মাটির প্রদীপে ঝোঁক নেই! চাহিদা তাই বেশ কম। আগামী দিনে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকে আমাদের দিন আমাদের পরিবার চালাবো। আগামি দিনে মাটির প্রদীপের চাহিদা বাড়বে বলে আশাবাদি নদীয়া মৃৎশিল্পীরা।আধুনিক যুগে মাটির তৈরি হাতের প্রদীপ হারাতে চলেছে তুলনামূলক বাজারে চাহিদা অনেক কম পরিশ্রম বেশি মাটির তৈরি প্রদীপ টিকিয়ে রাখতে গেলে সরকারিভাবে পদক্ষেপ করতে হবে বলে জানায় মৃৎশিল্পীরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct