সুব্রত রায়, কলকাতা, আপনজন: আবকে বার ২০০ পার’ শ্লোগান তুলে বাংলা দখলে আসা গেরুয়া বাহিনী মুখ থুবড়ে পড়েছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। ২০০ তো বহু দূর তার অর্ধেক ১০০ও ছুঁতে পারেনি পদ্মশিবির। ৭৭ আসনেই দৌড় থেমেছে তাঁদের। তারপরেও রয়েছে ক্ষয়ের ধারা। দলে দলে কর্মী থেকে নেতা মায় বিধায়কেরাও দল ছাড়ছেন। দল ছাড়তে পিছুপা হচ্ছেন না সাংসদরাও। রাজ্যের বেশির ভাগ জায়গায় নিজেদের দলীয় কার্যালয়টাও খুলতে পারছেন না পদ্ম শিবিরের নেতারা। কেননা বুথ স্তরের সংগঠন বলে কিছুই নেই। যেখানে যেখানে ভোটের আগে যাও বা ছিল সেটাও ধ্বসে গিয়েছে ভোটের পরে। কিন্তু এই ছবিরই বিপরীত চিত্র সঙ্ঘের নিজস্ব সংগঠনে। সঙ্ঘ অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ যা দেশে আরএসএস নামেই বেশি পরিচিত, সেই সঙ্ঘের দাবি, একুশের ভোটের পরে বাংলায় নাকি তাঁদের শাখার সংখ্যা ২৫ শতাংশ বেড়েছে। কোন জাদুবলে এহেন ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠল গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই।সঙ্ঘের অভ্যন্তরীন রিপোর্টে এই ২৫ শতাংশের বাড়বৃদ্ধির বিষয়টি উঠে এসেছে। আর এই বাড়বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে বাংলার দুই মেদিনীপুর এবং হাওড়া ও হুগলি জেলায়। বিশেষ করে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বা প্রভাবিত এলাকায় এই বাড়বৃদ্ধির ঘটনা বেশ উল্লেখযোগ্য। অথচ মজার কথা যে সব জায়গায় সঙ্ঘের এই বিকাশ ঘটেছে সেখানে রাজনৈতিক ভাবে বিজেপির কোনও অস্তিত্বই নেই। কেন এই উলটো ছবি ধরা পড়ছে সেটাই এখন প্রশ্ন হয়ে ঘুরছে গেরুয়া শিবিরে। বিজেপি নেতাদের দাবি, শাসক দলের সন্ত্রাসে দলের কর্মী থেকে নেতারা পদ্মশিবির ছাড়ছেন। একের পর এক মামলার জেরে দল ছাড়ছেন বিধায়ক ও সাংসদরা। দলের কর্মীরা পুলিশি নিগ্রহের ভয়ে না দল করতে পারছেন না দলের কার্যালয় খুলতে পারছেন। অনেকেই খুন হয়ে যাচ্ছেন, অনেককে আবার বাড়িঘরদোর পরিবার ছেড়ে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তাই বঙ্গে বিজেপির অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। সঙ্ঘের নেতারাও এই কথা অস্বীকার করতে পারছেন না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct